প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মানে অনিয়ম,দূনীর্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী
জতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বর্ষে সরকারের নির্বাহী প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল মানবিক উন্নয়নের, মানবতা এবং মানবাধিকার উন্নয়নের আরেকটি উন্নয়ন হলো দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠির যাদের ভুমি নেই, গৃহ নেই তাদেরকে ভুমিসহ ঘর দেয়া। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগ এবং অঙ্গীকার দেশের প্রত্যেক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। দিনতো কেটে যায় কিন্তু দরিদ্র মানুষগুলোর যখন চিন্তা ছিল রাত হলেই মাথা গোঁজার স্থান সেই চিন্তা থেকে এসব মানুষ মুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগ মহানুভবতার একটি নিদর্শনও বটে। কিন্তু যখন এই মহৎ কাজের বা উন্নয়নের বিষয় নিয়ে অভিযোগ আপত্তি উঠে তখন স্বভাবতই মনে একটি দাগ কেটে যায়। কেননা এ উন্নয়ন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর স্বপ্নের বাস্তবায়ন। কিন্তু এসব ঘর নিয়ে নানান জটিলতা, হয়রানির কথা গুলো সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও উঠে আসছে।
আমরা দেখছি এ উন্নয়ন কাজের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্যও রয়েছে ভুমি ও গৃহ নির্মাণ। তাই তিন পার্বত্য জেলাতেও ভুমি ও গৃহহীন দরিদ্র মানুষকে ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই পেয়েছেনও। বান্দরবানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের থানচিতে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান পূর্বক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিতব্য একক গৃহ নিমার্ণ ও গৃহ বরাদ্ধের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছেনা। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এসব ঘর নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করছেন অনেকেই।
কিন্তু কথা হলো প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এই উদ্যোগ এর ঘরগুলি তৈরী নিয়ে যদি নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পকর্মকর্তারাও যদি দায়সারা গোচের বক্তব্য দেয় নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে তার দায়তো দরিদ্ররা বহন করবে না। এসব দরিদ্রদের নানান ভাবে হয়রানিরও অভিযোগ উঠছে। দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘর তৈরীতে যারা অনিয়ম এবং দূনীর্তির আশ্রয় নিয়েছে এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।