শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের প্রতিশ্রুতি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
দীঘিনালায় নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ’সহ শিক্ষক পদে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধ কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নানান প্রলোভন দেখিয়ে এসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এখন নানান ছলছাতুরি করছে বলে ভুক্তোভুগিরা জানিয়েছে। টাকা আদায় করতে না পেরে অবশেষ স্থানীয় আদালতে মামলাও টুকাইয়াছে।
জানা যায়, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ২০১৫ সন থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এর পর থেকেই দেশের সকল বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়, বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এদিকে খন্ডকালীন শিক্ষক বিনয় কান্তি চাকমা (৪৫) ১৩ জনকে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা সহ চাকুরী দেয়ার নামে তাদের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকা গ্রহণ করে। বিনয় চাকমা নিজেকে দীঘিনালা মডেল বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দাবী করলেও প্রধান শিক্ষক তা অস্বীকার করেছেন। টাকা নেয়ার পর থেকে পরীক্ষায় পাশ সহ চাকুরী হবে হচ্ছে এভাবে বলেই সময় ক্ষেপন করছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে কাঠালতলী এবং কবাখালীর একাধিক শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সহ চাকুরী দেয়ার কথা বলে তিন লক্ষ টাকা করে নিয়েছে। এখন নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা সহ চাকুরী দিতে পারছে না। এঘটনায় তিনি বার বার সময় অতিবাহিত করছেন।
এব্যাপারে আরেক ভুক্তভোগী কাজী হাবিবুল্লাহ জানান, বিনয় কান্তি চাকমা তার নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা টাকা হওলাত নিয়েছে। নির্ধারিত সময় পার হলেও টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না। তিনি আরো জানান এঘটনায় হাওলাত টাকা উদ্ধারে খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষক বিনয় কান্তি চাকমাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।
এদিকে বিনয় কান্তি চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কিছু টাকা হাওলাত হিসেবে নিলেও ওই টাকা ফেরৎ দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন মনি চাবমা বলেন, বিনয় কান্তি চাকমা সাড়ে চার বছর পূর্বে বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি আরো জানান, কাজী হাবিবুল্লাহ’র টাকা লেনদেনের বিষয়টি জেনেছেন।