[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
পাহাড়ি অঞ্চলে তামাক চাষে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যইব্রাহিম খলিল বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দবান্দরবানে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিস ডাকাতি, ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা লুটবান্দরবানের রুমা কাঠ বোঝাই জীপ দূর্ঘটনায় হেলপারের মৃত্যুএই সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায়: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানে আওয়ামীলীগের সাত নেতাকে গ্রেফতারবান্দরবানে ১হাজার ৭শত পিস ইয়াবাসহ কৃষক দলের নেতা আটকখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে কৃষকের প্রনোদনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ, এসব কি হচ্ছেঅবশেষে ছাত্রদল নেতা শাহ আলমের কঙ্কাল ১৫ বছর পর কবর থেকে উত্তোলনরাঙ্গামাটির লংগদুতে বিশ্ব রেড ক্রস দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় সোলার বিতরন ও উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখান, বাস্তবায়নও করেন

৬৯

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আধুনিক বান্দরবান বির্নিমানে সকল উন্নয়ন প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমোদন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পার্বত্য অঞ্চলের বিষয়ে আলাদা নজর রয়েছে তাঁর। যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ সকল দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তিন পার্বত্য জেলা তথা বান্দরবান জেলা। শেখ হাসিনা ‘স্বপ্ন দেখান, বাস্তবায়নও করেন’। পাহাড়ের একটি বাড়িও অন্ধকারে থাকবে না। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব না সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

“পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যান্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প-২য় পর্যায়” প্রকল্পের অধিনে নতুন করে লামা উপজেলার গজালিয়া ও রূপসীপাড়া ইউনিয়নে ২ হাজার ৭শত ৯৩টি পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় ৭টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, প্রতিটি উপজেলায় ৫০ শয্যা হাসপাতাল, জেলা সদরে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল, জেলা সদর সহ ৭টি উপজেলায় মোট ১৪টি কলেজ, ১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন করে ইউএনডিপি পরিচালিত ২১০টি স্কুলকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি ঘোষণা করেছেন এবং ৭১৪ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত সকল উন্নয়ন সামগ্রীর সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণের করতে হবে। নতুন করে মহামারি করোনা ও পাহাড়ে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। করোনা ঠেকাতে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে ও ম্যালেরিয়া মোকাবেলায় সবাইকে মশারির সঠিক ব্যবহার করার অনুরোধ করেন।

শনিবার (০২ জুলাই) সকাল ১১টায় রূপসীপাড়া ইউনিয়নের শিলেরতুয়া এলাকায় মতবিনিময় সভা এবং দুপুর ১টায় গজালিয়া বাজারে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এইসব কথা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (বাস্তবায়ন) হারুন অর রশীদ (যুগ্ন সচিব), বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, তিং তিং মার্মা, শেখ মাহাবুবুর রহমান, ফাতেমা পারুল, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, মিন্টু কুমার সেন, ছাচিং প্রু মার্মা সহ প্রমূখ।

এসময় পার্বত্য মন্ত্রী এলজিইডি’র অর্থায়নে লামা উপজেলার শিলেরতুয়া-রূপসীপাড়া সড়কে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ১৮৪ মিটার গার্ডার ব্রিজের উদ্বোধন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শিলেরতুয়া বৌদ্ধ বিহার ও বিহারের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, গজালিয়া ফাদু খালের উপর ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ ও সংযোগ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর, বাতেন টিলা মুসলিম পাড়া জামে মসজিদ ভিত্তিপ্রস্তর, বাইশপাড়ি বৌদ্ধ বিহারের উদ্বোধন, চিন্তাবর পাড়া বৌদ্ধ বিহারের উদ্বোধন, বাইশপাড়ি হতে চিন্তাবর পাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন করেন। জনসভা শেষে ২ হাজার ৭৯৩ পরিবারের মাঝে সোলার বিতরণ, ৪০০ কৃষকের মাঝে প্রমোদনা (সার-বীজ) প্রদান এবং বিভিন্ন স্কুল ও সংগঠনে ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করেন।