অবশেষে চাকুরীদাতা রাঙ্গামাটির ভুয়া ‘মেজর’ সুমন হাজতে
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সেনবাহিনী ও র্যাব এর মেজর পরিচয়দানকারী চাকুরীদাতা ভুয়া মেজর সুমন এখন হাজতে। চাকুরী দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে সে পলাতক ছিল। গত বুধবার গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ বালুখালী এলাকা থেকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করা হলে আদালত হাজতে প্রেরনের আদেশ দেন।
আদালত সুত্র জানায়, সদর ইউনিয়নের বালুখালীর সাপমারা এলাকার বাসিন্দা সুমন (৩০) নিজেকে কখনো সেনাবাহিনীর কখনো র্যাব এর মেজর পরিচয় দিয়ে বেড়াত। এটিকে পূুজি করে সে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে মেজর সুমন রাঙ্গামটি শহরের তবলছড়ি এলাকার এক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল মাবুদকে নৌবাহিনীতে চাকুরী দেয়ার নাম করে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে তা বুঝতে পেরে আব্দুল মাবুদ ২০১৯ সালের ০৭ মে তার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ এনে রাঙ্গামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এবং গত ১২ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারার আসামীর অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।
পরে চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ মনজুরুল ইসলাম সাক্ষীগ্রহণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামী আবুল হোসেন সুমন এর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪২০ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিজ্ঞ আদালত গত ০৯ মার্চ ২০২০ সুমনকে পাঁচ বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন এবং অনাদায়ে আরো ০৬ (ছয়) মাসের কারাদন্ডেও দন্ডিত করেন।
বৃহস্পতিবার থানা সুত্র জানান, পলাতক মেজর সুমনকে পুলিশ আটকের পর বুধবার (৯সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.এন.এম. মোরশেদ খান এর আদালতে হাজির করা হলে আদালত জেল হাজতে প্ররেনের নির্দেশ দেন। এর আগে গত ০৯ মার্চ একই আদালত এ দন্ডাদেশ দিলে পলাতক সুমনকে গ্রেপ্তার করতে পরোয়ানাও জারি করেন। সে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৬নং বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাপমারা পাহাড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ আবু আলমের ছেলে বলে জানান।
ই-পিসি/আর