[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির উপর হামলায় নিন্দা বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ

৪৭

॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাঙ্গামাটি বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকার সাইজাম গ্রামে কুকিচিং ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) হামলায় ঘটনাস্থলে ঐ গ্রামে নিহত হন তিনজন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত আরো দুইজন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বাত্রিকস)। শুক্রবার (২৪ জুন) বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ জুন মঙ্গলবার বিকালে সাইজাম পাড়ার নিরীহ ত্রিপুরা পরিবারের উপর বিনা কারনে তথাকথিত কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সশস্ত্র বাহিনী অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় পাড়াবাসীর ৩ জন নিহত ও ২ জন শিশু গুরুতর আহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন-বিজলা ত্রিপুরা ছেলে বিশাই ত্রিপুরা (৫৫), বিশাইচন্দ্র ত্রিপুরা ছেলে সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা(২২), চিতারাং ত্রিপুরা ছেলে ধনরাং ত্রিপুরা (১৫)। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ ও আহতরা হলেন- সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা ছেলে অনন্ত ত্রিপুরা (৪) ও তার মেয়ে সুশান্না ত্রিপুরা (২)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- ইতিমধ্যে ঘটনায় ওপর বিভিন্ন পত্রিকা , টিভি, সহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ও মিডিয়াতেও প্রকাহিত হয়েছে। পাশাপাশি ঐ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মার্মা ও ইউপি সদস্য জামাইয়া তংচগ্যা ঘটনা সত্যতা মোবাইলের মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিরীহ ঘটনার শিকার বীর উত্তম ত্রিপুরা উল্লেখ করে জানান, নিহত ব্যাক্তিদেরকে শুধু গুলি করে হত্যা করে ক্ষান্ত হননি ধারালো ছুরি ও দা দিয়ে গলা ও মাথা কেটে আদিম যুগে বর্বরোচিত নৃশংস হত্যা করেছে। কাজেই এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সমগ্র ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি কখনো মানবে না, মানতে পারেনা।

বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ- বান্দরবান জেলার শাখা কমিটি সমগ্র বান্দরবান জেলার ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির পক্ষ থেকে এ মর্মান্তিক ঘটনা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এ হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যাক্তি বা জনগোষ্ঠিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে জোর দাবী জানান বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বাত্রিকস)।

এব্যাপারে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বাত্রিকস) বান্দরবান জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ত্রিপুরা জানান, দুই একদিনের মধ্যে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এর আগে কর্মসুচির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসন পক্ষ থেকে অনুমতি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।