[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ১ সদস্য সহ ৯জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানারামগড়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও অভিভাবকদের গরু বিতরণরামগড়ে সীমা হোটেলের মালিককে জরিমানাকাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় ঈদ এ মিলাদুন্নবী পালনদীঘিনালায় সেনাবাহিনীর কর্তৃক চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণখাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটকপ্রবারণা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিয়নে ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিতপার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: উপদেষ্টা সুপ্রদীপখাগড়াছড়ির পানছড়িতে মৎস্যখাতে কোটি টাকার ক্ষতিলংগদুতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক জনসচেতনতা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের আলীকদমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তিন শতাধিক

৫১

॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,আলীকদম ॥

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দূর্গম ৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়ার রোগে প্রাদুর্ভাব ব্যাপক বেড়ে চলছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ও আশংখাজন ৪১ জন বলে জানা গেছে। শিশুর পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ। এ ঘটনায় উৎকন্ঠা বিরাজ করছে পুরো পাহাড় জুড়ে। কিন্তু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলেও এখনও সরকারী চিকিৎসা সেবা পায়নি আক্রান্তরা স্থানীয়সহ অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের।

কুরুকপাতা ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডায়রিয়া আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৪নং কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো। বুধবার (৮মে) বিকেল থেকে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।

সারদা পাড়ার কার্বারী সারদা ত্রিপুরা ও সাবেক মেম্বার চিনপাত ম্রো বলেন,ডায়রিয়ার পাশাপাশি জ্বর ও বমি হচ্ছে অনেকের। অর্থনৈতিক সংকট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধায় সন্তানকে নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে পারছি না। হাসপাতালে গেলেও বিভিন্ন ঔষুধ দোকান থেকে কিনতে হয়।

নিপিও ম্রো বলেন, প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে পাহাড়ের পল্লীগুলোতে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। পাহাড়ে রিংওয়েল না থাকায় পাহাড়ের বসবাসরতরা বাধ্য হয়ে ঝিরি ও ঝর্ণা পানি পান করেন। মূলত পাড়াগুলোর মানুষ দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান,ঝিড়ি ঝর্নার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী বিভিন্ন উৎস থেকে দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাছাড়াও দূর্গম এলাকা হওয়ায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে রোগটি দ্রুত সময়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় পায়ে হাটার পথ হওয়ায় রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসাও সম্ভব হচ্ছে না।

 

 

৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রো বলেন, রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এখন পযন্ত কোন চিকিৎসক দল চিকিৎসা সেবা দিতে যায়নি দূর্গম এলাকাগুলোতে। পরিস্থিতি আশংকাজন হলে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে আলীকদম বাজার থেকে পল্লী চিকিৎসক ঔষুধ ও খাওয়ার স্যালাইন নিয়ে গিয়ে রাতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় অসুস্থ রোগীদের কে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান,রাত বেশী ও দূর্গম হওয়ায় এতদূরে চিকিৎসক দলকে একা পাঠানো সম্ভব হয়নি। ভোরে কুরুকপাতা ইউনিয়নে ঔষুধ সহ চিকিৎসক দলকে পাঠানো হয়েছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।