[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বিলাইছড়ির ফারুয়া’র জনগণকে মোবাইল নেটওয়ার্ক দেওয়ার ব্যবস্থা হোক

৩৬

আমাদের বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ মধ্য আয়ের দেশেও রূপান্তর হতে চলেছে। বর্তমানে দেশে এমন কোন অঞ্চল বা গ্রাম নেই যে এ ডিজিটালের বাইরে রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম পিছিয়েপড়া অঞ্চল হলেও বহু চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৫ সালে তিন পার্বত্য জেলাকে মোবাইল নেটওয়ার্ক এর আওতায় আনা হয়। সেই থেকে তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন আরো দ্রুত গতিতেই বেড়ে যায়। কিন্তু ভাগ্যের বিধিবাম দীর্ঘ বছর পরেও অভিযোগ আপত্তি হলো রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে এখনো সেই মোবাইল নেটওয়ার্ক এর বাইরে। যার কারনে বর্তমান উন্নয়ন দ্রুতগতির দেশেও একেবারে পিছিয়ে রয়েছে ফারুয়ার জনগন।

জানা গেছে, বিলাইছড়ি উপজেলার একমাত্র দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল ফারুয়া ইউনিয়নের জনগণ এখনো মোবাইল নেটওয়ার্ক ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পশ্চাৎপথ ফারুয়া ইউনিয়নের জনগণ শিক্ষা, চিকিৎসা, সুন্দর বাসস্থানসহ সকল ক্ষেত্রেই এখনো পিছিয়ে রয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন তাদের কি নাগরিক অধিকার নেই? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষতার নেতৃত্বে দেশের জনগণ ডিজিটাল সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাস পার্বত্য এলাকার মধ্যে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের জনগণ ডিজিটাল সেবা কি তারা এখনো জানেই না। বর্তমানে সমস্তকিছু ডিজিটাল এর আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, নাগরিক সেবা অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। যাহাতে প্রত্যেক নাগরিকগণ ঘরে বসে সেবা পায়। কিন্তু এ হতভাগা ইউনিয়নের জনগণ এসব সুযোগসুবিধা থেকে এখনো বঞ্চিত। বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড গুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তাবিহীন মোটর বাইকে যেতে হয়েছে গ্রামে গ্রামে। যেকোন মূহূর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকা ছিল সবসময়। জনপ্রতিনিধরা অসহায়দের মাঝে এসব মানবিক সহায়তা তুলে দেন তখন প্রাণবন্তর হাসি ফুটে উঠে সকলের মাঝে।

কিন্তু বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া থেকে যোগাযোগের পথ বর্তমানে পাশ্বর্বতী উপজেলা রাজস্থলীর সাথে সুব্যবস্থা করতে সীমান্ত সড়ক নির্মিত হলে অর্থনৈতিক পথ সুগম হবে। জীবনযাত্রার মান উন্নতি হলে পরিবর্তন ঘটবে সমাজ ব্যবস্থা ও এলাকার উন্নয়ন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চগ্যা বলেছেন, ফারুয়া ইউনিয়নটি অতি দূর্গম হওয়াতে অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে উন্নয়নে একেবারে পিছিয়ে আছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে সহজে যোগাযোগ করা যায়না। তাই একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ফারুয়া ইউনিয়নের সেবাদানের লক্ষ্যে সরকার যাহাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করে দেয় সেজন্য ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে জোরদাবি জানান। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য অঞ্চলের আনাচে কানাচে নেট চালু করে জনগনের নাগরিক সুবিধা তরান্বিত করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং চাঁদাবাজির কারনে কিছু উন্নয়ন কাজ ব্যহত হচ্ছে যার মধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্কও। কিন্তু কথা হলো ব্যাপক সুবিধার মধ্যেও দেশের কোন না কোন স্থানে প্রতিনিয়তই অঘটন ঘটে যাচ্ছে। অথচ সেখানে সবকিছুই আছে। কিন্তু বিলাইছড়িতে প্রতিদিন এমনতো বড় অঘটন হচ্ছে না যে সেখানের মানুষ ডিজিটাল সুবিধার বঞ্চিত থাকবে। তাই সরকারের উচিত অচিরেই এ পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়নকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা। এতে করে প্রত্যেকেরই দ্রুত উন্নয়ন ঘটবে।