[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাইয়ে ভোক্তা অধিকার এর অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানানৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদরাঙ্গামাটি শ্রী শ্রী লোকনাথ যোগাশ্রমের (মন্দির) ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলাস্থ ভাইবোনছড়ায় বৃদ্ধ মজিবুর এর জায়গা দখলের অভিযোগকাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিনের ইন্তেকালআর পিছিয়ে থাকতে চাই না, দেশের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই; পার্বত্য উপদেষ্টালামায় লোকালয়ে উদ্ধার লজ্জাবতী বানর, মাতামুহুরী রিজার্ভে অবমুক্তরাঙ্গামাটির রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো যেন মরণফাঁদআলীকদমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুই যুবকের আত্মহত্যা

৫১

॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বারো ঘন্টার ব্যবধানে দুই যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একজনের নাম মোঃ কবির হোসেন (২৩)। তিনি পানছড়ির সাঁওতাল পাড়ার মোঃ হারুন আলীর ছেলে। সে পানছড়ির ডিস ক্যাবল নেটওয়ার্কের একজন ম্যাকানিক হিসেবে কর্মরত ছিল। সে শুক্রবার (১৩মে) মধ্যরাতে বিষপান করে। গুরুতর আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।

আরেকজন একই এলাকার জয় সাঁওতাল (২২) নামের এক শিক্ষার্থী নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে। সে উপজেলার সাঁওতালপাড়া গ্রামের তুইলা ও হ্যাপি সাঁওতালের ছেলে। সে পানছড়ি সরকারি ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১৩মে) বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে নিজ ঘরে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

আত্মহত্যার ২০ঘন্টার আগে দুজনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিয়েছিল বিরহের স্ট্যাটাস। অবশেষে বারো ঘন্টার ব্যবধারে দু’জনেই বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ। দুটি অপমৃত্যুর ঘটনা পানছড়ির অভিভাবক মহলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জয় সাঁওতাল ফেসবুকে লিখছিলেন, এই জীবনে মানুষের ভালোবাসাটাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় অপরাধ. এই অপরাধের শাস্তি টা মুত্যুকে পর্যন্ত হার মানায়।

অন্যদিকে মোঃ কবির হোসেন লিখেন, এই পৃথিবীতে কেনো জানি, বেঁচে থাকার ইচ্ছাটা ফুরিয়ে গিয়েছে। তিনি স্টোরিতেও আমি মরে গেলে কেঁদো না, ধরে নিও তুমি মুক্তি পেয়ে গেছো- লেখা সম্বলিত একটি পোস্ট দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই দু’জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরহের স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিল। তারা যে আত্মহত্যার পথ বেচে নিবে তা ছিল ধারণার বাইরে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পানছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ কামরুজ্জামান।