[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় রাবার কোম্পানি লোকজন দেখে ত্রাণ নেয়নি

৪৪

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

সরকারি লোকজনের পাশে রাবার কোম্পানির লোকজন দেখে আমরা ত্রাণ গুলো নেয়নি। ত্রাণ পেয়ে আমরা খুশি হয়েছি। সোমবার লামার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লাংকম ম্রো পাড়ার কারবারী লাংকম ম্রো (৩৬) সহ তিন পাড়ার লোকজন উপজেলা প্রশাসনের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণকালে এমনভাবে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

সোমবার (০৯ মে ) বিকেল সাড়ে ৪টায় লামা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সরই ইউনিয়নের লাংকম ম্রো পাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া এবং রেংয়ান ম্রো পাড়ার ৩৬ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মেনওয়াই ম্রো ও তিন পাড়ার কারবারী সহ তিন পাড়ার লোকজন উপস্থিত হয়ে ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন।

ত্রাণ পেয়ে লাংকম পাড়ার সংলে ম্রো (৪০) বলেন, আমরা ত্রাণ পেয়ে খুশি। জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়ার হামমতি ত্রিপুরা (৫০) বলেন, আমরা জয়চন্দ্র ত্রিপুরায় আসছি ৭ বছর হবে। আগে কাঁঠালছড়া ত্রিপুরা পাড়ায় ছিলাম। আমাদের বাগান আগুনে পুড়ে গেছে। লাংকম পাড়ার রুইপাও ম্রো (৩০) বলেন, ওদিন ইউএনও স্যারের পেছনে কোম্পানির লোকজন ছিল। তাই আমরা ভেবেছি এগুলো লামা রাবারের সহায়তা তাই গ্রহণ করেনি। লাংকম পাড়ার বুইলি ম্রো (৩৫) বলেন, আগুনে আমার আনারস ও মিশ্র ফলের বাগান পুড়ে গেছে। ঋণ করে আমরা বাগান করেছিলাম।

রেংয়ান ম্রো পাড়ার কারবারী রেংয়ান ম্রো বলেন, তিন পাড়ায় ৩৬টি পরিবার খাদ্য এবং খাবার পানির তীব্র সংকটে আছে। লামা উপজেলা প্রশাসন খাদ্য সহায়তা দেয়ায় আমরা খুশি। এইভাবে আমরা প্রশাসনকে পাশে চাই।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, তিন পাড়ার কারবারী ও লোকজনকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ নেয়া ও তাদের যাওয়ার জন্য গাড়ি রিজার্ভ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পাশে আমরা আছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, ত্রাণ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষে আমি ত্রাণ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছি। প্রতি পরিবারকে চাল ১০ কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, লবণ ৫০০ গ্রাম, পানি বোতল ২ লিটার, মুড়ি ১ কেজি, চিড়া ১ কেজি দেয়া হয়েছে। আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।