ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে
খাগড়াছড়িতে ভূমিহীন, গৃহহীন, অসহায় ও হতদরিদ্র ৪৯৮পরিবার পেলো জমিসহ ঘর
॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
রমজান শেষে ঈদ-উল-ফিতর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে এই ঈদ উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে ৪শ ৯৮টি ভূমিহীন, গৃহহীন, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার পেলো দুই শতাংশ জমিসহ সেমি পাকা ঘর।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জমির দলিলসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।
ঘর দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর কোনও দেশে এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে কি না, কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমি শুধু তার কন্যাই না, আমি তার আদর্শে বিশ্বাস করি। কাজেই আমার কাছে ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা দেয়া। জনগণের জন্য কাজ করা। আর আমি আজকে যেটাই করে যাচ্ছি, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে দলিলসহ ঘর বুঝিয়ে দেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনের সংসদ সদস্য ও ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা-এমিপ এবং জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
এসময় উপকারভোগীরা ঘরের চাবি ও দলিল পেয়ে আনন্দ অশ্রুসিক্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার, খাগড়াছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান দত্ত ত্রিপুরা, কমলছড়ি ইউনিয়নের সুনীল চাকমা, গোলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান উল্লাস ত্রিপুরা, পেরাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের সুজন চাকমা’সহ জেলা সদরের কর্মরত সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবার তৃতীয় পর্যায়ে খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় ৩৮টি, মহালছড়িতে ২৭টি, মানিকছড়ি ৩৫টি, দীঘিনালায় ৬০টি, পানছড়ি ৮৭টি, রামগড়ে ৭২টি, গুইমারায় ৪৫টি, মাটিরাঙ্গায় ৫০টি ও লক্ষীছড়িতে ৮৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।