[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাপ্তাইয়ের বনপ্রহরীদের জন্য দেড় শ’ বছর পর নির্মাণ করা হলো মসজিদ

৪০

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ের দূর্গম পাহাড়ের ভেতর বন বিভাগের উদ্যোগে প্রায় দেড় শ’ বছর পর নির্মাণ হলো মসজিদে কুবা। দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে বনপ্রহরীদের নামাজ আদায়ের জন্য এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্ভুক্ত কর্ণফুলী রেঞ্জের মুখ বিট অবস্থিত। এবিটটি ১৮৬৫সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিটটি ২হাজার ২শ’একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের সব চেয়ে ঐতিহ্যবাহী সবুজ গাছ ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ বিটটি । বিশাল বন পাহাড়া দেওয়ার জন্য বিট ও বনপ্রহরী কর্তব্য পালন করলেও নামাজ আদায়ে কোন সুব্যবস্থা ছিলনা। একটি জরাজীর্ণ পাঞ্জেখানা ছিল।বিট কর্মকর্তা /কর্মচারীরা নামাজ বা জুম্মা আদায় করতে প্রায় ৫/৭কিঃমিঃ দূরত্ব গিয়ে নামাজ আদায় করাত । এত দূরত্ব গিয়ে কেউ নামাজ আদায় করত। আবার যেতে যেতে জুম্মার নামাজ পেতনা। দূর্গম এ বিটের বিশালতা ও মনমুগ্ধকর সবুজ বেষ্টনী দেখতে সম্প্রতি পরির্দশ করেছে সাবেক বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা ইসলাম, বন সচিব,প্রধান বন সংরক্ষক, ডিসিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ। এখানে নামাজ আদায়ের কোন সুবিধা না থাকায় দীর্ঘ ১৫৭বছর পর নতুনভাবে নির্মাণ করা হল মসজিদ।

মুখ্য বিট অফিসার কবির আহমদ জানান, ঐতিহ্যবাহী এ বিটে আমরা দায়িত্ব পালন করছি ২২জন বনপ্রহরী। কিন্ত নামাজ বা জুম্মাবাদ আদায় করার জন্য ইতিপূর্বে ইমামের কোন ব্যবস্থা ছিলোনা। বর্তমান বন বিভাগ ইমাম নিয়োগ করায় জুমার নামাজ ও রমজান মাসে তারাবি আদায় করছি।

কাপ্তাই কর্ণফুলী রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘ দেড় শ’ বছর যাবৎ এখানে কোন মসজিদ ছিলোনা। একটি পুরাতন জরাজীর্ণ পাঞ্জেগানা ছিল। কোন ইমাম ছিলোনা। বর্তমান রাঙ্গামাটি বন সার্কেল সুবেদার ইসলাম(সিএফ) ও দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ছালেহ মোঃ শোয়াইব খান (ডিএফও)’র ও আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বন কর্মকর্তা /কর্মচারীদের জন্য নতুন ভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হয় এবং ইমাম নিয়োগ দিয়ে নিয়মিত নামাজ ও রমজান মাসে তারাবি আদায় করা হচ্ছে। এটির নাম দেয়া হয় মসজিদে কুবা।