[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ

আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি: ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন

৮৭

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে হেয় হওয়ার ঘটনায় থানা অভিযোগ দেয়ার পরও মামলা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি অথচ আমিই আইনী সহায়তা পাচ্ছি না। শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ উত্তাপন করেন।

সকাল ১১ টায় প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম তার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন মিলে গত ১৯ আগষ্ট রাতে আলম ডকইয়াডস্থ বাসায় অতর্কিত ভাবে প্রবেশ করে তাঁর শ্লীলতাহানিসহ মারধর এবং ছোট্ট মেয়েকে নির্যাতনের চেষ্টা করে। মেজবা উদ্দিন, হাবিবুর রহমান বাপ্পি, কায়সার আহম্মেদ ও ইমরুল উদ্দিনসহ ১০/১৫ জনের দল মিলে দরজা বন্ধ করে ছুরি ও রড দিয়ে আঘাত করে। বাসার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে মেয়ের ছবি ধারন করার চেষ্টা করে মেজবা উদ্দিন। সে দীর্ঘ ১ থেকে দেড় বছর ধরে আমার নাবালিকা মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছে। এ ঘটনায় পরের দিন চার জনকে দায়ি করে থানায় অভিযোগ করলে অদ্যবদি এটি মামলা আকারে নেয়া হয় নাই। পরে অভিযুক্তরা ২৪ আগষ্ট রাত ৯ ঘটিকার সময়ে আবারো বাসায় প্রবেশ করে উশৃঙ্খলভাবে গালিগালাজ করে এবং আওয়ামীলগের জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদার,এমপি’র নাম ব্যবহার করে ১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে বাসা ছাড়িয়া দিতে বলে না হয় বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকী প্রদান করে। পরে দলের পদস্ত নেতাদের সাথে আলোচনা করে ২৫ আগষ্ট আবারো তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন এর ছত্রছায়ায় অভিযুক্তরা লালিত পালিত। এ বিষয়টি নিয়ে সুজন তাকে হুমকী দেয় এবং যা হয়েছে চুপ থাকার জন্য বলে, না হয় আরো নির্যাতন ও সম্মানক্ষুন্ন হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে জানায়। এ অবস্থায় আইনানুগ ব্যবস্থাসহ তিনি ও তাঁর মেয়ের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, নাসরিন বলেন, পুলিশ কি কারনে অভিযোগ মামলা আকারে নিচ্ছেননা জানিনা। অভিযুক্তদের বিষয়ে কোন উদ্যোগও গ্রহন করছেন না। তিনি বলেন আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি অথচ আমিই আইনী সহায়তা পাচ্ছি না।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন বলেছেন, তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষেরই অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক সময়ে বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামীলীগে তিনি অনুপ্রবেশকারী। তাঁর ভগ্নিপতি জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত।

ই-পিসি/আর