খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর বৈসাবি মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
পাহাড়ের আদিবাসীদের সবচেয়ে প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু, সাংগ্রাই, বিষু, বিহু, সাংলান-১৪২৮ ও বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে সরকারি বেসরকারি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পরিক্রমায়।
এদিকে উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক চারদিন ব্যাপী বৈসাবি মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (৭এপ্রিল ২০২২) সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জীতেন চাকমার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, ডিজিএফআই এর কমান্ডার কমান্ডার কর্নেল ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। তাদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাই- বঙ্গবন্ধু চেয়েছে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একই ছাতার নিচে থেকে সকলে উন্নয়নে সারথী হই। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঞা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটুআই মেজর মো. জাহিদ হাসান, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য যথাক্রমে শতরূপা চাকমা, নিলোৎপল খীসা, শুভ মঙ্গল চাকমা, শাহিনা আক্তার, পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল্লাহ ও জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায় দাশ, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়াসহ সরকারি-বেসকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তা, নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ইনস্টিটিউটের শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।