[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের রুমা গ্রামবাসীর প্রশ্ন কত বছর অপেক্ষা করলে পাকা-নিরাপদ সড়ক পাবখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী, আটক-২রাঙ্গামাটি জেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- কাজল তালুকদারসেবাপ্রাপ্তীদের প্রত্যাশা পুরণে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল বদ্ধ পরিকর: সিভিল সার্জনখাগড়াছড়ির রামগড়ে পিতা হত্যা’র আসামি ছেলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তাররাঙ্গামাটিতে মৃত হাতি শাবককে ৪৮ঘণ্টা ধরে পাহাড়ায় হাতির দলজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে দীঘিনালায় সচেতনতামূলক সভাবাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেকাপ্তাই আইডিইবি’র নতুন সভাপতি- ইমাম ও সাঃ সম্পাদক-আলীআইডিইবি কাপ্তাই সাংগঠনিক জেলা নির্বাহী কমিটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকরা আনন্দে আত্নহারা

৬৯

॥ আরিফুর রহমান ॥

টইটম্বুর রসালো তরমুজে ভরপুর এখন রাঙ্গামাটির প্রতিটি বাজার। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি কৃষি সাম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ফলন ভালো হওয়ায় এবার দামও বেশ ভালো বেশ পাওয়ায় যাচ্ছে বলে জানান চাষীরা। ফলন ভালো হওয়ায় তরুণদের মাঝেও চাষাবাদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাজার ভরপুর থাকলেও দাম এখনো কিছুটা চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

রাঙ্গামাটিতে বেশিরভাগ তরমুজ উৎপাদন হয় কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে। জেলার সদর ,বরকল, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বিলাইছড়ি উপজেলাতে তরমুজের চাষাবাদ করা হলেও সদর এবং লংগদুতে বেশী চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদিত এসব তরমুজ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার নিয়ে যান ব্যাপারীরা।

শহরের বনরূপা বাজারের সমতাঘাটে লংগদু উপজেলা থেকে তরমুজ বিক্রি করতে আসা চাষী আমিন জানান, এবার স্থানীয় বাজারে প্রচুর তরমুজের চাহিদা রয়েছে। এবার ন্যায্য দামও পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যাপারীরা ভালো দাম হাকাচ্ছেন। এখনো পর্যন্ত ভালো বিক্রি হয়েছে। এ বছর তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।

শহরের হ্যাপির মোড়ের তরমুজ ব্যবসায়ী সুয়েল চাকমা এবং এবং আব্দুল গণি জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের কাছ থেকে কম দামে তরমুজ ক্রয় করতে পেরেছি। ছোট-বড় ও মাঝারি ধরণের তরমুজ ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আর বড় আকৃতির তরমুজ ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এ বছর তরমুজের ব্যবসা ভালো হচ্ছে বলে জানান তারা।

রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, আবহাওয়া ভাল থাকায় রাঙামাটিতে এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুম শুরুতেই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। এবার তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান, কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সহায়তাসহ চাষ পদ্ধতি, সার, কীটনাশক ও যাবতীয় কৃষি উপকরণ বিষয়ে সকল প্রকারের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।