[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের প্রত্যন্ত উপজেলাগুলোয় কঠোর নজর দিন

৪৬

পার্বত্য জেলাগুলো অতিশয় সুন্দর এবং পর্যটন এলাকা হওয়ায় দেশ বিদেশের মানুষ এখানে অনায়াসেই বেড়াতে আসছেন। নিজেদের মতো করেই স্বাচ্ছন্দ্যে এ দিক ওদিক বেড়ানো, আবাসিক হোটেলে থাকা খাওয়া, কেনা কাটা ইত্যাদিতেও যেন শান্তিতেই দেশী বিদেশী পর্যটকরা বেড়াতে আসতে পারছেন। যার কারনে পার্বত্য জেলাগুলোর এবং মানুষের নানাভাবেই উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষে মানুষে সন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠছে। এছাড়াও অর্থনৈকি উন্নয়ন, তিন জেলার দশর্নিীয় স্থান গুলো দেশে বিদেশে তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝে বাঁধসেধে বসে থাকে নানান প্রকারের অশান্তি। যার কারনে প্রত্যেকের বেলাতে শান্তি এবং উন্নয়নগুলো বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। নানান বিষয়ে বঞ্চিত হচ্ছে সকলেই।

দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু সময় মাস ধরে তিন জেলার মধ্যে পার্বত্য বান্দরবান জেলার প্রত্যন্ত অনেক উপজেলার পরিস্থিতিগুলো আশান্তির কারনে নানান চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে প্রত্যক মানুষের মনে। কোন কোন ঘটনায়তো হতচকিতও। এর পরে মানুষ তাদের নিত্য দিনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বান্দরবানের প্রত্যন্ত উপজেলাগুলোর লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, থানছি, আলীকদম, রোয়াংছড়ি সহ আরো কিছু উপজেলার পরিস্থিতি যেন সকলকেই ভাবিয়ে তুলেছে। এসব উপজেলার বেশ কিছু ঘটনাও শান্তি, উন্নয়ন, মানুষে মানুষে অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলোতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলত দেশী বিদেশী পর্যটকদেরও আগম সীমিত হয়ে আসছে। এসব উপজেলাগুলো মারামারি খুনো খুনি, নারী নির্যাতন ধর্ষণ, মাদক ক্রয় বিক্রয় সহ ইত্যাদী অপকর্মগুলো যেন চাঁটের মতো লেগেই রয়েছে। একটার পর একটা অঘটন ঘটেই যাচ্ছে। এসবের কারনে স্থানীয় নীরিহ অনেকের জীবনও যেন সঙ্কায় পড়ছে।

লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নানান ঘটনার মধ্যে সম্প্রতি অস্ত্রধারীদের সাথে গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা নিহত হন সেই সাথে অজ্ঞাত তিন সন্ত্রাসীও নিহত হয়। এরপরে এক কার্বারী (গ্রাম প্রধান) সহ তাঁর চার ছেলেকে হত্যা, সন্ত্রাসীদের গুলিতে আরো কয়েক যুবক নিহতের ঘটনা। এছাড়া লাগামহীনভাবে মাদক পাচার, ক্রয়-বিক্রয়, সন্ত্রাসী কর্তৃক একরে পর এক হত্যাকান্ড, নারী নির্যতন ধর্ষণ ঘটনা যেন ভাবিয়ে তুলেছে এজেলার শান্তিপ্রিয় মানুষ ও প্রশাসনকে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডগুলোসহ নানান কারনে বর্তমানে পর্যটকরা সঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের নানান উন্নয়ন কাজগুলো আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রত্যেক মানুষ তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে পিছু পড়ে যাবে। সংঘটিত হত্যাকান্ড এবং অপকর্মগুলোর সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক, অর্থনৈতিক, উন্নয়নে, মানুষে মানুষে সুন্দর সম্পর্কের উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন সহ আইনসৃংখলাবাহিনীকে বান্দরবানের প্রত্যন্ত উপজেলাগুলোর বিষয়ে কঠোর নজর দিতে হবে।