বরকলে শতাধিক নারীর সমাগমে ”আন্তর্জাতিক নারী দিবস” উদযাপিত
॥ বরকল উপজেলা প্রতিনিধি ॥
“টেকসই আগামীর জন্য,জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাঙ্গামাটির বরকলে শত শত নারীর সমাগমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮মার্চ) সকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উপজেলায় র্যালী ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান চাকমা,বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচরিতা চাকমা, বরকল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাছির উদ্দিন,উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা অনুকা খীসা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্মকর্তা প্রিয় রতন চাকমা ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক অভীক চাকমা প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন,সমগ্র বিশ্বে নারীরা আর পিছিয়ে নেই। তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ রয়েছে। আর নারী-পুরুষ সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি ।
সভাপতি বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, দেশ উন্নয়নে নারীর ভূমিকা রয়েছে। সকল স্তরে নারীদের অগ্রাধিকার রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে নারী সমাজ বৈষম্যর শিকার হলেও সামগ্রিক অর্থে বিভিন্ন কাজে নারীদের অংশ গ্রহণ বেশি। কিন্তু তাদের সে সমাজ থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অনুকা খীসা বলেন,বহু আন্দোলনের পর ১৯৭৫ সালে ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসটি স্বীকৃতি লাভ করে। যা প্রতিবছর নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পুরুষদের পাশাপাশি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় যেমন সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ। তেমনি নারী সমাজকেও নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতন হওয়া উচিত।
এসময় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জ্যাকলিন চাকমা,মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের একাডেমিক সুপারভাইজার তানভীর মাহমুদ সহ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ,কিশোরী ক্লাব সদস্যবৃন্দ ও গণ্যামন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ট্রেডে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অনুকা খীসা। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।