[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাটের মোড়ক ব্যবহার না করায় জরিমানারাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষা উপবৃত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ালঅপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও ধর্ষকের শাস্তি দাবিতে বান্দরবানে প্রতিবাদ সমাবেশবান্দরবানের লামায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরুপারভেজ হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ছাত্রদলের মানববন্ধনখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৭বিজিবি’র বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানবান্দরবানের লামায় বাগান দখলের অভিযোগে সাতকানিয়ার শওকত হাজতেখাগড়াছড়ির রামগড়ে রংতুলি’র ঈদ, নববর্ষ ও বৈসাবি’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানখাগড়াছড়ির রামগড়ে দেশীয় অস্ত্র এলজি ও কার্তুজ উদ্ধারখাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমের
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে লামা-আলীকদমে সচেতনতামূলক পথসভা

৩৩

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

“আমরাই পারি বন্যপ্রাণী বাঁচাতে”এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার লামা-আলীকদমে ১ দিন ব্যাপী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (০৭ মার্চ) দিনব্যাপী লামা বন বিভাগের আওতাধীন আলীকদম উপজেলার তৈন রেঞ্জ অফিসে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিচালক এ.এস.এম জহির উদ্দিন আকন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক অসীম মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন, চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম। লামা আলীকদম উপজেলা থেকে সাংবাদিক, শিক্ষক, হেডম্যান, কারবারী, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষার্থী, নারী নেত্রী, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের ৩০ জন প্রতিনিধি এই সচেতনতামূলক পথসভায় অংশ নেয়।

সভায় জহির উদ্দিন আকন বলেন, বনের গাছপালা কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক কারণে বিলুপ্ত হওয়ায় বন্যপ্রাণী আজ হুমকির মুখে। পরিবেশ হচ্ছে জীবের প্রতিকূল। জলবায়ু হচ্ছে বৈরী। অথচ বনই হচ্ছে প্রাণীর জন্ম, বিচরণ, প্রজনন ও বসবাসের উপযুক্ত জায়গা। আইইউসিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বৈরী জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে ৭০৮ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৫৪টি, ৬৩২ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১২টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে এবং ৩০ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। ৪৯ প্রজাতির উভচর প্রাণীর মধ্যে ৮টি, ১৬৭ সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে ১৭টি বিলুপ্তির পথে। ১২৭টি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ১২টি বিপন্ন আর ১৭টি বিলুপ্তির পথে। ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ১০৬টি অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ডাইনোসোরের মতো বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে বাঘ। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৫০টি বাঘ কমে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের জীববৈচিত্র্যের অফুরন্ত ভান্ডার হচ্ছে বন। বনই হচ্ছে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ধারক ও বাহক। বন আছে বলেই উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে আছে। বন শুধু গাছপালাই রক্ষা করে না। সব প্রাণিজগৎকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অনেক উন্নত জাতের ফসল উদ্ভাবনের জন্য বন্য প্রজাতির ফসলের জিন সংগ্রহ করা হয়। প্রায় দুই হাজার প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদের জন্ম, উৎপত্তি, বাস ও নিরাপদ স্থান হচ্ছে বন। আগে বনই ছিল মানুষসহ সব প্রাণীর খাদ্যের উৎস। প্রকৃতির প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্যের জন্য একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বন রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বন ও বন্যপ্রাণী অপরিহার্য।