বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এক ও অবিচ্ছেদ্য বিষয় : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, একাত্তর সালে এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। ৭ই মার্চের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ভাষনের যে তাৎপর্য তা মনে রেখে সকলকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
সোমবার (৭মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বঙ্গবন্ধু চেতনামঞ্চে একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এক ও অবিচ্ছেদ্য বিষয়। স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর কাছে কোনো আকস্মিক বিষয় ছিল না। বরং ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অনিবার্য জাতীয় স্বাধীনতার দিকে তিনি বাংলার জনগণকে প্রস্তুত করেছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—এই ঐতিহাসিক ঘোষণার মধ্যে যেমন দেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতার কথা অন্তভুর্ক্ত, তেমনি মানুষের সার্বিক মুক্তি ও কল্যাণের আকাঙ্খাও ধারণ করেছে ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ।
এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলাস্থ নারিকেল বাগানস্থ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউনহলস্থ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনা মঞ্চে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামীলীগসহ সকল সহযোগি সংগঠন। পরে বঙ্গবন্ধু চেতনামঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা (জুয়েল), সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সনজীব ত্রিপুরাসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।