[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

চার জনকে দায়ি করে থানায় অভিযোগ দায়ের

সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্রের সুষ্ঠু বিচার চাই: ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন

১,২৭১

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার মানসে এবং তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যেহেতু আমি জন প্রতিনিধি নানান সহযোগীতা চেয়ে আমার কাছে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আসতেই পারে। ষড়যন্ত্র করে আমার চরিত্র নিয়ে আমাকে প্রশাসন, সমাজ এবং রাজনৈতিক ভাবে হেয় করা হচ্ছে। বুধবারে রাতের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের কাঠালতলীস্থ লেকার্স স্কুল এলাকার বাসায় গেলে এ প্রতিবেদককে আরো জানান, বুধবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তিনি তাঁর বাসায় বসে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে টিউবওয়েল বসানোর বিষয়ে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুর আলমকে নিয়ে প্রশাসনিক কাগজপত্রগুলোর পর্যালোচনা করছিলেন। সদর দরজা খোলা রেখেই নুর আলমকে সাথে নিয়ে কাজ করছিলেন বলে জানান। হঠাৎ পাশের বাড়ির এবং আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিন এর ছেলে মেজবাহ উদ্দিন বাসয় ঢুকে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এক পর্যায়ে বাইরে থেকে সদর দরজা বন্ধ করে দিয়ে চিৎকার করে এলাকার মানুষ ও সাংবাদিকদের ডেকে বিষয়টি অসামাজিক এবং ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে। এবং আমাকে হেয় করার ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়। পরে কোতয়ালীর ওসিকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করেন বলেও জানান। তিনি আরো বলেন, এলাকার উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন থেকে গৃহিত প্রকল্পের মধ্যে আমার এলাকার জনসাধারনের উন্নয়নের জন্য কিছু প্রকল্প আমাকে দেয়া হয়েছে যার মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডে পানির টিউবওয়েল বসানোর প্রকল্প। মূলত এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বাসায় গেষ্ট রুমে বসে নুর আলমকে নিয়ে কাজের স্থান যাঁচাই বাচাই করা হচ্ছিল।

ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আরো বলেন, যেহেতু আমি আওয়ামীলীগ দলের সমর্থিত এবং একজন নারী নেত্রী। প্রসাশনিক কাজে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুর আলম আমাকে সহযোগীতা করে আসছে। ঘটনার দিন তাকে ডাকা হলে সে আমাকে প্রকল্পের স্থান নির্ধারনে সহযোগীতার জন্য বাসায় আসে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি জনগনের প্রতিনিধি আমার কাছে সহযোগীতার জন্য যে কেউই আসতে পারে তাই বলে এটাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে এভাবে হেয় করা হবে আমার চরিত্র হনন করা হবে এটাতো মানা যায় না। এসব কাজ সরকারের গৃহিত জন উন্নয়নের কাজ এবং তারা এসব কাজের বাঁধা প্রদান করছেন। তাকে বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেন এবং এসময় তিনি কান্না করছিলেন। এ ঘটনার সাথে ৪/৫ জন জড়িত বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে তিনি জেলা আওয়ামীলগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপিসহ সিনিয়র নেতা নেত্রীদের জানিয়েছেন বলে জানান। আমাকে হেয় করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রপাগান্ড ছড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে এ হীন কর্মকান্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করে বৃহস্পতিবার কোতয়ালী থানায় শ্লীলতাহানী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেজবাহ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন কায়সার, ইমরোজ উদ্দিন এবং হাবিবুর রহমান বাপ্পিকে দায়ি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নুর আলম বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন তিনি একজন দলীয় নেত্রী সেই সাথে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও জনগনের উন্নয়নে প্রশাসনের গৃহিত প্রকল্পের কাজে আমি সেচ্ছায় তাঁকে সহযোগীতা করে আসছি। সেদিনও তাঁকে সহযোগীতা করতে গিয়েছিলান। সদর দরজা খোলা অবস্থাতেই বসে প্রকল্পের স্থানগুলো বাচাই করা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ মেজবাহসহ তার ৫সহযোগী প্রধান দরজায় স্বজোরে লাথি মেরে ভীতির সৃষ্টি করে এক পর্যায়ে বাসায় ঢুকে তাঁর মেয়ে জুবিনকে থাপ্পর মারে এবং নাসরিনকে শারিরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। পরে পুলিশ আসলে তাদের সামনেও বিশ্রি ভাষায় গালমন্দ করে তারা। তাদের এসব ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেন নুর আলম এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি কবির হোসেন বলেছেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ই-পিসি/আর