॥ দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় এখন শীতের শাক-সবজি মুলা,ফুলকপি, বাঁধাকপি, চায়না খিরা, শষা স্থানীয় বাজারে আগাম আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারের শাক-সবজি যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। এসব সবজি দামেও ক্রেতার নাগালের মধ্যে। স্থানীয় কৃষক ও তরুন শিক্ষিত উদ্যোক্তারা শীতের আগাম শাক সবজি চাষ করছে লাভবানও হচ্ছেন ।
উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের প্রিয়দর্শী চাকমা বলেন, খামারে শীতকালীন আগাম শাক সবজি চাষ করে স্থানীয় বাজারের বিক্রি করছে এতে তার লাভ হচ্ছে। সবজি খামারে রবি মৌসুমে শীতকালীন আগাম শাক সবজি চাষ করছে। মালচিং পদ্ধতিতে পলিথিন দিয়ে মুলা, চায়না জাতের শষা, খিরা, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রভৃতি চাষ করছে। তিনি আরো বলেন, দীঘিনালা উপজেলায় শাক সবজির প্রচুর চাহিদা আছে। সমতলের কুমিল্লা নিমসার বাজার, গৌরিপুর বাজার থেকে প্রচুর শাক সবজি এনে দীঘিনালা চাহিদা পূরণ করছে ব্যবসয়ীরা। আমি মনে করি মালচিং পদ্ধতিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে শীতকালীন আগাম শাক সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। তামাক চাষ স্বাস্থ্য জন্য ক্ষতিকর , তামাক চাষ না করে শাক সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়, আমার খামারে তিনজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে আগে তারা ঘুরে ঘুরে দিনমজুর কাজ করত। এখন তাদেরও একটি স্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে।
দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, দীঘিনালা উপজেলায় এবছর আবহওয়া অনুকূলে থাকায় শীতের আগাম শাক সবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকরা ও তরুন উদ্যোক্তারা শাক সবজি চাষে এগিয় আসলে তারা প্রচুর লাভবান হবে।