ভালোবাসার টানে রুরাম ম্রো বিয়ে করলো লামার টনি ত্রিপুরাকে
॥ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
কথায় আছে সত্যিকারের প্রেম মানে না কোনো বাধা, মানে না কোনো জাতি-বর্ণ-ধর্ম। তাই তো প্রেমের টানে ম্রো কন্যা রুরাম ম্রো আলীকদম থেকে এসেছেন লামার দুর্গম পোপা হেডম্যান পাড়ায়। আসার দুইদিনের মাথায় বেঁধেছেন ঘর-সংসারও। প্রেমিক টনি ত্রিপুরা লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পোপা হেডম্যান পাড়ার অন্তহা ত্রিপুরা ও দুর্বইতি ত্রিপুরার ছেলে। প্রেমিকা রুরাম ম্রো আলীকদম সদর ইউনিয়নের লাংরিং পাড়ার সাকনাও ম্রো ও কারকম ম্রো মেয়ে।
রুরাম ম্রো জানান, আমাদের দু’জন দু’জনকে বিগত ১ বৎসর যাবৎ ভালবেসে আসছি। এক পর্যায়ে আমরা দুজনের সম্মতিতে বিয়ে করবো বলে একমত হই। তাই গত ২১ অক্টোবর ২০২৫ইং মঙ্গলবার আমি সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে চলে আসি। লামায় চলে আসার ২ দিন পর ২৩ অক্টোবর ২০২৫ইং আমার বাবা আমাকে আলীকদমে নিয়ে চলে যায়। আমি আবার ২৫ অক্টোবর টনিকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে লামায় চলে আসি। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। জোরপূর্বক ঘর থেকে নিয়ে আসেনি। আমি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে ঘর থেকে টনিকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে লামায় আসি। এ ব্যাপারে আমার অভিভাবক কোন ধরনের আইন আদালতের আশ্রয় নিলে আমার ভবিষ্যৎ জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে বলে আমি মনে করি। আমি ১৮ বছরের পরিপূর্ণ যুবতী। সুতারাং ধর্মীয় নীতি মেনে আমি আমার ভালবাসার মানুষ টনি ত্রিপুরাকে মেনে নিয়েছি। এক্ষেত্রে ছেলেপক্ষ কোন ধরনে দায়ী নয়।
ম্রো তরুণীর আগমন আর বিয়ের খবর আশপাশের ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে বর টনি ত্রিপুরা ও কনে রুরাম ম্রো তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাতে লামা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে বসে। এসময় পোপা হেডম্যান পাড়ার লোকজন তাদের সাথে আসে।
এ বিষয়ে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি, কিন্তু দেখিনি। শুনেছি তারা ইতোমধ্যেই বিয়ে করেছে। এবিষয়ে আমি জেনে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।