[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির বসন্ত সমবায় বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তোম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিতস্বামী কর্তৃক নির্যাতিত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর পাশে ছাত্রদলশরতের সকালে কুয়াশা পাহাড়ে যেন শীতের আগমনী বার্তাঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা নিয়ে রূপসী কাপ্তাই এর উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়লংগদুতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানসম্প্রীতির মাধ্যমে বিশ্বাসের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে: খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকমহালছড়ির মাইসছড়িতে সোনালী লাইফ পিএলসি’র উঠান বৈঠকমাটিরাঙ্গা সেনা জোনের মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানমানিকছড়ির চিত্ত সুখ মঙ্গলং বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসবদীঘিনালায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটির বসন্ত সমবায় বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তোম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

॥ দেবদত্ত মুৎসুদ্দী গোপাল ॥
রাঙ্গামাটি জেলার ৬নং বালুখালি ইউনিয়নের বসন্ত সমবায় বৌদ্ধ বিহারে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ৩০ তম দানোত্তোম কঠিন চীবর দান। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিহার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বিহারের দায়ক-দায়িকার, উপাসক উপাসিকার আয়োজনে এ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রদ্ধালংকার ভান্তের সভাপতিত্বে এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, করুণা লংকার ভিক্ষু, জ্ঞানধর্ম ভিক্ষু, সুমনোজ্যতি ভিক্ষু, গুণপ্রিয় ভিক্ষু বুদ্ধদত্ত ভিক্ষু, বিমলজ্যতি ভিক্ষু, মোগ্গালায়ন ভিক্ষু, বালুখালি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অমর চাকমা, সুরেশ চাকমা, নন্দপাল চাকমা, বিশ্বনাথ চাকমা, সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আগত ভিক্ষুগণ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তার প্রধান সেবিকা বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি, রং করা, বয়ন ও সেলাই শেষে চীবর বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র দান কাজ সম্পাদন করেন। বৌদ্ধরা এই ধর্মীয় উৎসবকে কঠিন চীবর দান বলেন। কঠিন চীবর দানের মাধ্যমে অর্জিত হয় এমন পাঁচটি ফল হল: ১. পুণ্য ও সুকৃতি লাভ, ২. সকল প্রকার ধনসম্পদ প্রাপ্তি, ৩. নির্বাণ বা অমৃতপদ লাভ, ৪. সুস্বাস্থ্য ও নীরোগ দেহ লাভ, এবং ৫. পাঁচ প্রকার দোষ থেকে মুক্তি (পঞ্চফল লাভ)। কঠিন চীবর দানকে অন্যসব দানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও দানশ্রেষ্ঠ বলা হয় কারণ এতে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ই পুণ্যফল লাভ করেন। কঠিন চীবর দানের ৫টি ফল ১. পুণ্য ও সুকৃতি লাভ: কঠিন চীবর দানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পুণ্য ও সুকৃতি লাভ হয়। ২. সকল প্রকার ধনসম্পদ প্রাপ্তি: এই দানের ফলে সকল প্রকার ধনসম্পদ অর্জিত হয়। ৩. নির্বাণ বা অমৃতপদ লাভ: বুদ্ধ, প্রত্যেকবুদ্ধ ও বুদ্ধশিষ্যগণ কঠিন চীবর দানের ফলেই নির্বাণ বা অমৃতপদ লাভ করেছেন। ৪. সুস্বাস্থ্য ও নীরোগ দেহ: কঠিন চীবর দানের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য ও নীরোগ দেহ লাভ করা যায়। ৫. পঞ্চফল লাভ: কঠিন চীবর দানকারী ভিক্ষুগণ পাঁচটি দোষ থেকে মুক্তি লাভ করেন, যা পঞ্চফল লাভ নামে পরিচিত।

কঠিন চীবর দানকে উপলক্ষ করে সকাল থেকে রাত অবধি নানাবিধ দান অনুষ্ঠানে আয়োজনে, বুদ্ধ পতাকা উত্তলন, সংঘদান, অষ্ঠপরিস্কার দান, বুদ্ধ প্রতিবিম্বদান, হাজার বাতিদান, আকাশ প্রদীপদান, ভোজন, ধর্মীয় সংগীত, বিনা মূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও ওষুধ সেবা সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হযেছে। সকাল থেকে শত শত পুণ্যাতীর পদচারণায় বিহার ও আশ পাশে এলাকা উৎসব মুখর মিলন মেলা হয়ে উঠে।