সেবাপ্রাপ্তীদের প্রত্যাশা পুরণে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল বদ্ধ পরিকর: সিভিল সার্জন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ও সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, হাসপাতালের সেবাপ্রাপ্তীদের প্রত্যাশা পুরণে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল বদ্ধপরিকর। অনেক সময় নার্সরা রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা এ বিষয়টা নিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত কাউন্সেলিং করছি। বুধবার সকালে(২২অক্টোবর) তত্তাবধায়কের কক্ষ, রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে এ অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সনাক সভাপতি নিরূপা দেওয়ান এর সভাপতিত্বে অঞ্জুলিকা খীসা, গৈরিকা চাকমা, মোহাম্মদ আলী, নিরূপা দেওয়ান, এসিজি স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী রিচি হাওলাদার, এসিজি সদস্য শিপন চাকমা, শাহরীয়ার ইমন রাসেল । সভায় Swiss Agency for Development and Cooperation (SDC)) প্রতিনিধি সাবিনা ইয়াসমীন লুবনা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সনাক সদস্য মোহাম্মদ আলী। সঞ্চালনা করেন টিআইবি’র চট্টগ্রাম ক্লাস্টারের ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মোঃ জসিম উদ্দিন।
সিভিল সার্জন বলেন, সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে এত বড় সেবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা একটু কষ্টসাধ্য। ১০০ বেডের হাসপাতালে প্রায় ডাবল রোগী ভর্তি থাকে। এছাড়াও তিনি সাম্প্রতিক সময়ে টাইফয়েড টিকা নিয়ে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে সেটাতে কান না দিয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ সকল বাচ্চাদের (৯ মাস থেকে ১৫ বছর) টিকা দেওয়ার পরামর্শ দেন।
জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সনাকের সভায় টিআইবি’র কমিউনিটি মনিটরিং ও কমিউনিটি অ্যাকশন সভা থেকে প্রাপ্ত মতামতসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সিভিল সার্জন আলোচ্যসূচি ধরে সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধানের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেছেন। বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এজেন্টদের অফিস চলাকালীন সময়ে হাসপাতালের রোগীদের প্যাথলজি টেস্ট এর চাপ প্রয়োগ বন্ধ করা ও নিম্নমানের যে সমস্ত ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া, হাসপাতালে পর্যাপ্ত হুইল চেয়ার ক্রয় করা, কেবিনসমূহ পরিষ্কার পরিচছন্ন রাখা, হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, মানি রিশিটের মাধ্যমে লেনদেন করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি নিরূপা দেওয়ান তার বক্তব্যে বলেন, সেবার মান উন্নয়নের উত্থাপিত যে সমস্ত বিষয়বস্তু সভায় আলোচনা হয়েছে সেগুলো সংশ্লিষ্টদের সাথে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হলে সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।