বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে
॥ রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধি ॥
কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং চাঁদাবাজীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। উপজেলার উন্নয়নে শান্তির জন্য সকল প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাব। রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় বক্তারার এসব কথা বলেন। বুধবার (২২অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মডেল মসজিদ কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরান খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী সাব জোন অধিনায়ক মেজর মোঃ জিয়াউর রহমান। এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান শেখ, জামায়াত ইসলামের সভাপতি মৌলনা ফরিদ আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ তুহিন, উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, নওশত খান, কৃষি অফিসার শাহরিয়ার বিশ্বাস, শিক্ষা অফিসার তাজুরুল ইসলাম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এনাম, সাংবাদিক আজগর আলী খান, রাজস্থলী সরকারি কলেজের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ সেন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কর্মকর্তা অনিক বড়ুয়ার সঞ্চলনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরান খান বলেন, মাদকবিরোধী কার্যক্রমটিকে আমরা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে চাই। তারই লক্ষ্যে আমাদের আজকের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এই সামাজিক আন্দোলনে আমরা সমাজের সব স্তরের নাগরিকদের যুক্ত করে মাদকমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি। সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব।
ইউএন ও আরো বলেন, বাল্যবিবাহ নারীর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দেয় যা নারীর ক্ষমতায়নকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। প্রচেষ্টার অন্ত নেই আমাদের তবু দেশের ৬৪ ভাগ বিয়ে বাল্যবিবাহ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
রাজস্থলী ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান বলেন, রাজস্থলী উপজেলাটি একটি সম্প্রীতি বন্ধন উপজেলা, এখানে কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা। যে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থাকবে সে এলাকায় কোন উন্নয়ন হবে না। সুতরাং উন্নয়ন করতে হলে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে।