॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শ্যামা পূজা দেখতে গিয়ে এক উপজাতি কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রামগড় সীমান্ত সড়কের ধলীয়া ব্রিজ সংলগ্ন একটি বাগানে এ ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় দুই ধর্ষণকারীকে আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। আটকরা হলেন, রনি বিকাশ ত্রিপুরা (৩২) ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা (১৭)। এ ঘটনায় আরও দুইজন পলাতক রয়েছে। আটক রনি বিকাশ ত্রিপুরা বেলছড়ি ইউনিয়নের চোংরাকাপা গ্রামের অরুন বিকাশ রোয়াজার ছেলে এবং ডেটল বাবু ত্রিপুরা গোমতী ইউনিয়নের বান্দরছড়া গ্রামের অনিরঞ্জন ত্রিপুরার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি সদর থেকে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ায় খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। সেদিন রাতে স্বজনদের সঙ্গে বেলছড়ি ইউনিয়নের অযুদ্ধা কালী মন্দিরে শ্যামা পূজা দেখতে যায় সে। পূজা দেখতে যাওয়ার সময় সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারীরা তার পিছু নেয় এবং সুযোগ বুঝে তাকে পুষলাইয়া মন্দির এলাকা থেকে কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও সুমন বিকাশ ত্রিপুরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অপর দুইজনও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণের পর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা তাকে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়। স্বজনরা তাকে খুঁজে না পেয়ে মন্দির কমিটির সহায়তায় খোঁজ শুরু করে। পরদিন মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে ধলীয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে সামাজিক বিচারের জন্য ডাকা হলে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ এসে দুজনকে হেফাজতে নেয়। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন ক্ষতিগ্রস্তের পরিবার।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষিতার বোন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।