|| মোঃ মাসুদ রানা, রামগড় ||
খাগড়াছড়ির রামগড়ে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বেড়েছে। অন্যায় কাজে তাদেরকে কাজে বাধা দিলেই তেড়ে আসছে, হামলা করছে। এভাবেই কিশোর গ্যাং এর প্রধান শাহাবুদ্দিন ও সাব্বির গ্যংদের হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ সরওয়ার হোসেন (৫০)। এভাবে বড় ধরনের কর্মকান্ড ঘটিয়ে ফেলবে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩অক্টোবর শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ টার সময় একদল মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং স্কুল মাঠেই সরওয়ার এর উপর অতর্কিত হামলা চালায় এতে তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। বর্তমানে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। হামলাকারী কিশোর গ্যাং এর প্রধান মোঃ শাহাবুদ্দিন রামগড় পৌরসভার ০৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জসিম উদ্দিন এর ছেলে বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।
রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ সরওয়ার হোসেন জানান, রাতে আমি স্কুল কোয়ার্টারে থাকি এবং রাতে স্কুলের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাকে দেখতে হয়। গত শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার সময় আমি বাজার থেকে স্কুল কোয়ার্টারে থাকার যখন যাচ্ছি তখন শাহাবুদ্দিনকে স্কুল মাঠে পায়চারী করতে দেখে, তাকে বললাম, তুমি এত রাতে স্কুলের ভিতরে কি করো, এ-ই কথা বলার সাথে সাথে শাহাবুদ্দিন আমাকে গালাগালি করে এর পর আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে, এক পর্যায় আমি মাটিতে পড়ে গেলে স্কুল ভবন নির্মাণের মিস্ত্রী আমির ভাই দেখে ফেললে তখন শাহাবুদ্দিন পালিয়ে যায়। এতে আমি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছি।
তিনি আরো জানান, গত ২৬ আগস্ট আমি সন্ধ্যায় গেইট বন্ধ করতে গেলে তারা গেইট বন্ধ করতে নিষেধ করে, আমি বললাম তোমরা চলে যাও সন্ধ্যা হয়ে গেছে, গেইট বন্ধ করতে হবে, একথা বললাম কেন তারা গেইটের সামনে মাগরিবের আজানের সময় সাব্বির হোসেন (২০) পিতা আরিফ হোসেন, মাতা মনি বেগম, শাহাবুদ্দিন সহ ৮/১০ মিলে আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে ২টি দাঁত ভেঙে যায়, তাৎক্ষণিক মানুষজন এসে হাসপালের নিয়ে যায়, তার কিছুদিন পর ৪ সেপ্টেম্বরে ঘটনার বিচার চেয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি, পরিতাপের বিষয় হলো যে আমি সঠিক বিচার পাইনি তখন। ওরা বার বার স্কুলের ভিতর গভীর রাতে প্রবেশ করে মদ গাঁজা খাবে চুরি করবে আমি নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে বাঁধা দিতে পারবো না, এদিকে স্কুলের কিছু হারিযে গেলে আমার চাকরির উপর চাঁপ আসে,অন্য দিকে চোরদের বাঁধা দিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি আসে, মার খেতে হচ্ছে, এভাবে চললে আমি কোথায় যাবো, বর্তমানে স্কুলের কোন নিরাপত্তাই নেই।
রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের শ্রমিক মোঃ আমির হোসেন বলেন, রাত ১০টার দিকে শাহাবুদ্দিন নামে একটি ছেলে সরওয়ার ভাইকে স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করে কিল ঘুষি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেয়। চিৎকার শুনে আমি বের হলে তখন শাহাবুদ্দিন পালিয়ে যায়।
এবিষয় রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কর্মরত চিকিৎসক সুত্রে জানা গেছে, সরওয়ার হোসেন এর মাথা, বুকে, মুখের চোয়ালে মারাত্মক আঘাত লেগেছে, চিকিৎসা চলমান রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালে নিয়ে গেলে ভাল হবে বলে জানান।