[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আজ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা

১১

\ দেবদত্ত মুৎসুদ্দী গোপাল \
সারাবিশ্বের সকল প্রাণিকে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে জানাই প্রবারণা পূর্ণিমার মৈত্রীময় প্রীতি ও শুভেচ্ছা। কালের অনন্ত প্রবাহে দিন আসে দিন যায়। তেমনি বর্ষ পরিক্রমায় প্রতি বছর নতুন হয়ে ফিরে আসে। বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জীবনে। প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অতিব গুরুত্ব একটি বিশেষ দিন। ।প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয় মূলত দুটি কারণে: প্রথমত, এটি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাসের বর্ষাবাস বা বর্ষাবাস ব্রতের সমাপ্তি এবং এই সময়ে সংঘটিত ভুলত্রুটি ক্ষমা চাওয়ার পবিত্র দিন। দ্বিতীয়ত, এটি ভগবান গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক তাবতিংস স্বর্গে দেবলোকে গিয়ে পরলোক গত গর্ভধারিনী মা-কে ধর্মদেশনা শেষে পৃথিবীতে অবতরণের স্মরণে উদযাপিত হয়, যা বৌদ্ধদের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক ঘটনা।

বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন পূর্ণিমা পর্যন্ত প্রায় তিন মাস নিজেদের বিহারে অবস্থান করেন এবং আত্মশুদ্ধি ও ধর্মচর্চায় মগ্ন থাকেন। এই তিন মাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমায় ভিক্ষুরা একটি যৌথ সভায় মিলিত হন। সেখানে তারা একে অপরের সামনে নিজেদের দোষত্রুটি বা ভুল স্বীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
প্রবারণা শব্দের অর্থ হলো ‘প্রকৃষ্টরূপে বরণ করা’ এবং ‘নিষেধ করা’। অর্থাৎ, ভালো ও কুশল কাজগুলো বরণ করা এবং মন্দ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা। এটি আত্মশুদ্ধি ও পরিশুদ্ধতা অর্জনের একটি প্রক্রিয়া।

বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, ভগবান গৌতম বুদ্ধ ‘বুদ্ধত্ব’ লাভের পর দেবলোকে গিয়ে তার মা-কে ধর্মদেশনা করেছিলেন এবং এই প্রবারণা পূর্ণিমার দিনই তিনি মর্ত্যে বা পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এই বিশেষ ঘটনাকে স্মরণ করতে এবং বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনুসারি শ্রামন, ভিক্ষু, মেসিলা, দায়ক-দায়িকা,উপাসক-উপাসিকা সকলে মনের আনন্দে স্নানে নিজেকে পবিত্র হয়ে নিজেকে যথা সাধ্য পরিপাটি করে। নিজ নিজ এলাকায় অথবা পছন্দ অনুযায়ী বিহারে গিয়ে সম্মিলিত প্রার্থনা, পঞ্চশীল,অষ্টশীল গ্রহন সংঘদান,অষ্টপরিস্কারদান,বুদ্ধ বিম্ব দান, প্রাণি অবমুক্ত সহ নানান সামাজিক কুশল কার্য কর্মের মাধ্যমে পূর্ণকর্ম সম্পাদন করেন এবং একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করেন সামাজিক বন্ধন মজবুত করেন।

সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজলন, হাজার বাতিদান, বৈকালিক পানিয়দান, এবং বিশেষ আকর্ষণ নানা রংএর আকাশ প্রদীপ ফানুস উত্তোলন করেন অতি আনন্দের সাথে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর, কিশোরী বৃদ্ধ অংশগ্রহণ করে প্রচুর আনন্দ উপভোগ করেন। যা এখন বিশ্বে সকলের সমাদৃত হয়েছে। এই মহান দিনে বাংলাদেশী সকল বৌদ্ধদের সরকারের নিকট অনেক দিনের দাবি ছিল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা। কিন্তু যুগ যুগ পেরিয়ে গেলেও সেই আশা বৌদ্ধদের পূরণ হয়নি।