[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
অনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতমাটিরাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতিবাড়ি ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে মাটিরাঙ্গায় শিক্ষকদের কর্মবিরতিবান্দরবানের রুমায় অসহায়দের মাঝে সমাজ কল্যাণ পরিষদের অনুদান বিতরণধানে শীষে ভোট চেয়ে দীঘিনালায় বিএনপি গণসংযোগ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা প্রশাসন সতর্ক সেনা টহল জোরদার

॥ লংগদু উপজেলা প্রতিনিধি ॥
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশঙ্খলা বাহিনী তৎপরতায় খাগড়াছড়ির তুলনায় লংগদু উপজেলা পরিস্থিতি শান্ত।

বর্তমান পরিস্থিতি এবং হিন্দু সস্প্রদায়ের চলমান পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীর নতুন চেক পোস্ট ও টহল বাড়ানো হয়েছে। মূল সড়কে চলমান যানবাহনে নিরাপত্তার খাতিরে চেকিং করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি যেনো পূজো অনুষ্ঠানে প্রভাব ফেলতে না পারে এবং পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লংগদু সেনা জোন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তেজস্বী বীরের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর মোর্শেদ এসপিপি পিএসসি।

বিশেষ করে, পূজা মণ্ডপগুলোতে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং বাঙালি ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার মূল লক্ষ্য হিসেবে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই অত্র জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রিফাত উদ্দীন এর নেতৃত্ব বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নির্ভয়ে পূজার আচার-অনুষ্ঠান পালনে অংশ নিতে পারছেন বলে জানান। আগামী বৃহস্পতিবার (২অক্টোবার) প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পূজোর সমাপ্তি হবে।

এদিকে জোন অধিনায়ক জানান, পাহাড়ের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং চলমান দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনীর এই অতিরিক্ত টহল ব্যবস্থা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সাথে একযোগে কাজ করছে। যাতে সকলেই নিরাপদে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারে। তিনি সকলকে গুজবে কান না দিতে এবং যেকোনো সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে এলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে অনুরোধ করেছেন। যেকোন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মোকাবেলা করতে প্রস্তত রয়েছেন সেনাবাহিনী। কোনরকম সাম্প্রদায়িকতা পরিলক্ষিত হলে সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পূজা মন্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান সহ সেনাবাহিনীর টহলদল নিরাপত্তার চাদরে ডেকে রেখেছেন।