[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা আর জুম্ম জনতার চলছে অনিদিষ্টকালের অবরোধ

॥ দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
সাজেকে আটকে থাকা পর্যটকদের গাড়ি দীঘিনালা উপজেলায় জোড়াব্রীজ সীমানা থেকে রিসিভ করে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে পৌঁছে দিয়েছে দীঘিনালা জোনের সেনাবাহিনী। খাগড়াছড়িতে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনার জের ধরে জুম্মু ছাত্রজনতার ডাকে চলমান অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও প্রশাসনের জারি থাকা ১৪৪ ধারার মধ্যে জেলা সদর ও গুইমারায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অস্থায়ী সেনা চেকপোস্ট স্থাপনের কারণে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (২৯সেপ্টম্বর) দুপুরে সাজেকে আটকে থাকা অর্ধশতাধিক টুরিষ্ট বহনকারী গাড়িসহ ৪শতাধিক পর্যটক বাঘাইহাট জোনের সীমানা থেকে দীঘিনালা জোনের সেনাবাহিনী রিসিভ করে খাগড়াছড়ি সদরে পৌঁছে দিয়েছে। দীঘিনালার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক ফেরার পথে মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, অবরোধের কারনে আমরা সাজেকে আটকে গিয়েছিলাম সাজেকের স্থানীয়রা অনেক সহায়তা করেছে আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদেরকে নিরাপত্তার টহল দিয়ে গন্ত্যবে পৌচ্ছে দিচ্ছে। পাহাড়ে সেনাবাহিনীর আন্তারিকতা বলে শেষ করা যাবে না। সত্যি সেনাবাহিনী অনেক প্রশংসার দাবিদার রাখে। ঢাকার হলিক্রিসেন্ট কলেজে ২য় বর্ষের ছাত্রী বুসরা বলেন, চলমান ঘটনায় প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছেলাম অবরোধের কথা শুনে পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে সহযোগীতার করেছে এবং সেনাবাহিনী স্কট দিয়ে নিরাপত্তা সহকারে আমাদেরকে সাজেক থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনীর অবদান ভুলতে পারব না।

অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় সহিংসতার কারণে গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ১৪৪ ধারা জারি করেন। তিনি জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আধাবেলা এবং শনিবার সকাল–সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালন করে জুম্মু ছাত্র–জনতা। এসময় জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা বহাল রাখা হয়। যদিও ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে, তবুও জুম্মু ছাত্রজনতা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এর প্রভাব জেলার প্রতিটি উপজেলায় পড়ছে। তবে সেনাবাহিনীর কঠোর তৎপরতা এবং দীঘিনালার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থায়ী সেনা চেকপোস্ট স্থাপনের কারণে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।