[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নাইক্ষ্যংছড়িতে আবারো চার কোটি টাকার ইয়াবা ও টাকাসহ দুই নারী গ্রেফতার

॥ মু. মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুই উপজাতি নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গ্রেফতার দুই নারী হলেন— উছাইয়ে মার্মা (১৫) ও মাচিং ওয়াং মার্মা (৮০)। তারা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিংথোয়াই পাড়ার বাসিন্দা।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সিনথোয়াই ও নতুন পাড়া এলাকায় বায়ের মার্মার একটি সেমিপাকা বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌস রনি বলেন, আটক নারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত ঘেঁষা এ অঞ্চলে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসরুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। এ ঘটনায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুলিশ জানায়, শনিবারের এ অভিযান চলমান মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ। মাদক চোরাকারবারী ও ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে একে একে গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোনাইছড়ি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও মাদকের প্রভাব বিস্তার করছে। এতে এলাকার যুব সমাজ দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের কঠোর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। স্থানীয়দের দাবি, সীমান্ত ঘেঁষা এ অঞ্চলে মাদক কারবার চিরতরে বন্ধে আরও জোরদার তৎপরতা চালানো প্রয়োজন। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা মাদক পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে কুখ্যাত। মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা এ অঞ্চল দিয়ে প্রায়ই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা দেশে প্রবেশ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও মাদক কারবারীরা নানা কৌশলে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।