[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাজস্থলী তাইতংপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহারের দাবি

॥ রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধি ॥
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমদাদ উল্যাহর বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার আচরণের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে ঘটেছে এমন এক ঘটনা, যা স্থানীয় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

বুধবার (২৪সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার সময়, যখন সূর্য তীব্র তাপ ছড়াচ্ছে এবং প্রচণ্ড গরমে বাইরে দাঁড়ানোই কঠিন হয়ে যায়, তখন ফুটবল খেলতে বাধ্য করা হয়। এই সময়ে মাঠে খেলতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে হিটস্ট্রোকের উপসর্গ দেখা দেয়।

এমন পরিস্থিতি থেকে সহজেই অনুমান করা যায় একটি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। অথচ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রতি সামান্যতম খেয়ালও রাখেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমদাদ উল্যাহ। বিদ্যালয়ের মূল দায়িত্ব হলো মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা। খেলাধুলা শিক্ষার একটি পরিপূরক অংশ হলেও সেটি কখনোই শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এখন যেন উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে লেখাপড়াকে পিছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। শিক্ষকদের পাঠদানের চেয়ে নানা আয়োজন এবং খেলার প্রতি বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়তে বিদ্যালয়ে পাঠাই। কিন্তু সেখানে যখন লেখাপড়ার চেয়ে খেলা-ধুলায় জোর দেওয়া হয়, তখন আমাদের মতো সাধারণ অভিভাবকদের হতাশ হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। দুপুরের প্রচণ্ড গরমে ছোট ছোট বাচ্চাদের মাঠে নামানো মানে তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা। তিনি আরও বলেন,‌ এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমদাদ উল্যাহকে নিতে হবে। আমরা তার দায়িত্বহীনতা ও সেচ্ছাচারিতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের জোর দাবি করছি।

স্থানীয় অভিভাবকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে দ্রুত প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ একজন প্রধান শিক্ষকের সঠিক নেতৃত্ব না থাকলে পুরো শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়ে।
এ ব্যাপারে রাজস্থলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুল হক বলেন, ঘটনা শুনেছি অভিযুক্তর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।