॥ মু. মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও বড় ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে ৩৪ বিজিবি। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত ২ ঘটিকায় বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের পশ্চিমকুল এলাকায় বিজিবির একটি বিশেষ টহল পরিচালিত হয়। এ সময় মিয়ানমার দিক থেকে কয়েকজন ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোঃ আলম (৩০)। তিনি উখিয়ার এফডিএমএন ক্যাম্প-২ (ইস্ট), ব্লক-এ-১ এর বাসিন্দা। তার পিতার নাম নুরুল হক। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগটি তল্লাশি করে মোট ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
অভিযান বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম, পিএসসি গণমাধ্যমকে জানান, “মাদকবিরোধী এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অন্যান্য মাদক চোরাকারবারিদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারা নয়, বরং মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধেও সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটককৃত আসামিকে উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের মাধ্যমে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ ৩৪ বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদকদমন অভিযানে সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সীমান্তে চোরাচালান ও ইয়াবা পাচার ঠেকাতে বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষও স্বস্তি ও আস্থায় ফিরছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, এ ধরনের অভিযান মাদক নির্মূলে বড় ভূমিকা রাখছে। তবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে শুধু বিজিবি নয়, স্থানীয় জনগণেরও সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হলে মাদক চোরাকারবারিরা নিরুৎসাহিত হবে এবং যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।