নাইক্ষ্যংছড়িতে একই রাতে চার রাবার বাগানে চুরি আতঙ্কে মালিক পক্ষ
॥ মু. মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রাবার শিল্প নগরীক্ষেত বাইশারীতে এক রাতে একাধিক রাবার বাগান ও ফ্যাক্টরিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় রাবার মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে অন্তত চারটি বড় রাবার বাগান ও একটি ফ্যাক্টরিতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় রাবার সিট, উৎপাদন সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ সামগ্রীসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
প্রথমে, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য এবং সম্প্রতি সংসদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবুল কালামের রাবার ফ্যাক্টরি থেকে বিপুল পরিমাণ রাবার সিট ও মাটলাম চুরি হয়। এছাড়া সাইফুল কোম্পানি ও দিদার কোম্পানির রাবার বাগানে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে ডাকাত দল। তারা প্রায় ১৮ জন শ্রমিককে কাজ থেকে সরিয়ে দেয় এবং তাড়িয়ে দেয়ায় বাগান দুটির উৎপাদন কার্যক্রম থেমে যায়।
অন্যদিকে, ডিভাইন রাবার বাগানের ১৫ নম্বর উৎপাদন এলাকা থেকেও লুটপাট চালানো হয়। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে প্রায় ১৫টি চাকু, এসিড ও বিদ্যুৎ সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যায়। একইভাবে এডভোকেট মোর্শেদুল ইসলাম রুবেলের মালিকানাধীন বাগান থেকে ২০ পার্টের একটি ট্যাংকি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ দিন মোহাম্মদ কোম্পানির বাগান থেকেও চুরির ঘটনা ঘটে।
রাবার মালিকেরা জানান, একের পর এক ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ক্ষুদ্র রাবার মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ রফিক বসরী বলেন, “এভাবে প্রতিদিন রাবার চুরি ও ডাকাতি হলে বাগান চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা বাগান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হব।”
এ বিষয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আনোয়ার আলম বলেন, চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং দ্রুত চোরদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।