[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লক্ষ্য অর্জনে পড়ালেখায় সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবেদীঘিনালায় একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসবাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন প্রশংসনীয়: ব্রিটিশ হাইকমিশনারবাঘাইছড়িতে বন্যায় বিপর্যস্ত কাচালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বন্ধ শ্রেনীকার্যক্রমবাঘাইছড়িতে এমএন লারমার ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভামাটিরাঙ্গায় হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে অন্তর্ভূক্তি করণ সভা অনুষ্ঠিতনিজস্ব মাতৃভাষা ও অক্ষরগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করব- সর্বমিত্র চাকমালক্ষ্মীছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকাপ্তাইয়ে দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটি গঠনকাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৫ ফুটের মধ্যে রাখতে রাঙ্গামাটিতে চার আইনজীবী’র স্মারকলিপি
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বাঘাইছড়িতে বন্যায় বিপর্যস্ত কাচালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বন্ধ শ্রেনীকার্যক্রম

॥ ইব্রাহীম, বাঘাইছড়ি ॥
অতিরিক্ত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা যেমন স্কুলে আসতে পারছে না, তেমনি শিক্ষকরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সোমবার (১৫সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো স্কুল চত্বর পানিতে ডুবে রয়েছে। স্কুল ভবনের আশেপাশে নোংরা ও দূষিত পানি জমে থাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়, বরং প্রায় প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুন্নি আক্তার বলেন, “আমি যখন এই স্কুলে পড়তাম তখনও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। বন্যার সময় স্কুল প্রায় অচল হয়ে যেত। এতে পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হতো।” এখনো একই অবস্থা এর জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ জরুরী।

বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী হাজীপারা গ্রামের বাসিন্দা জরিনা বেগম প্রতিবেদককে জানান, পানি বাড়লে স্কুলটি ডুবে যায়। অনেক শিক্ষার্থীকে কোমরসমান পানি পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে দেখি। এতে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং রাস্তা খারাপ হওয়ায় অনেক সময় ঝুকিও থাকে চলাচলে।

আরেক বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল নোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর বাঘাইছড়িতে ৩-৪ বার বন্যা হয়। কিন্তু সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। যে প্রতিষ্ঠানটি আশ্রয়কেন্দ্র হওয়ার কথা, সেটিই আজ পানিতে ডুবে গেছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারন স্তর আরো কমানো প্রয়োজন অন্যাথায় এই সমস্যার সমাধান হবেনা বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভদ্রসেন জানান, পানিতে প্লাবিত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষাও স্থগিত করতে হয়েছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আমরা প্রশাসন ও শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছি। দ্রুত সমাধান না হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

উল্লেখ্য যে, শুধু এই স্কুল নয়, বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল প্লাবিত আছে পানিবন্দী আছে শতশত পরিবার ও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রাম্য সড়ক। বর্ষামৌসুমে বৃষ্টি মানেই বাঘাইছড়িবাসী পানিবন্দী, স্থানীয়রা মনে করেন বিভিন্ন ছোট বড় খাল, ছড়া খনন করা, কাচালং নদী ড্রেজিং করা ও কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর কমাতে পারলে বাঘাইছড়ি সহ রাঙ্গামাটির বেশ কিছু উপজেলা পানিবন্দী হতে রক্ষা পাবে।