[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লক্ষ্য অর্জনে পড়ালেখায় সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবেদীঘিনালায় একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসবাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন প্রশংসনীয়: ব্রিটিশ হাইকমিশনারবাঘাইছড়িতে বন্যায় বিপর্যস্ত কাচালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বন্ধ শ্রেনীকার্যক্রমবাঘাইছড়িতে এমএন লারমার ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভামাটিরাঙ্গায় হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে অন্তর্ভূক্তি করণ সভা অনুষ্ঠিতনিজস্ব মাতৃভাষা ও অক্ষরগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করব- সর্বমিত্র চাকমালক্ষ্মীছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকাপ্তাইয়ে দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটি গঠনকাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৫ ফুটের মধ্যে রাখতে রাঙ্গামাটিতে চার আইনজীবী’র স্মারকলিপি
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন প্রশংসনীয়: ব্রিটিশ হাইকমিশনার

॥ মোঃ ইসমাইল, পানছড়ি ॥‎
‎বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা ক্যাথরিন কুক খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের খোঁজখবর নেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভার শুরুরেই প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে হাসপাতালের নানাবিধ চিত্র তুলে ধরেন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাজেশ দেব।

‎এসময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা ক্যাথরিন কুক বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন প্রশংসনীয়। পানছড়ির মানুষের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখানকার স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে সম্ভাবনা অনেক। আমি আশা করি, সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন একসাথে কাজ করলে এ অঞ্চলের মানুষ আরও উন্নত সেবা পাবে। তিনি উন্নয়ন সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

‎উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমা বলেন, প্রতিদিন কয়েক শতাধিক রোগী চিকিৎসার জন্য আসে। কিন্তু ১০ শয্যার সীমাবদ্ধতা ও ডাক্তার-নার্স সংকটের কারণে আমরা যথাযথ সেবা দিতে পারছি না। হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলে এবং পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স সহ সকল বিভাগের জনবল বৃদ্ধি পেলে জনগণ প্রত্যাশিত সেবা পাবে। এছাড়াও তিনি জানান, সরঞ্জাম ও জনবল সংকট আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেবা দিতে। কিন্তু কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে জনবল বাড়ানো জরুরি।

এরপর বক্তারা তাদের মত প্রকাশ করেন। বক্তারা বলেন, পানছড়ি উপজেলা একটি দুর্গম অঞ্চল। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এই দুই খাত উন্নত হলে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। সীমান্তবর্তী ও দুর্গম এ অঞ্চলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ এবং হাসপাতালটি ১০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে দুর্গম অঞ্চলে সাব-হাসপাতাল তৈরির। হাসপাতালটিতে নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবক। পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ হলে এ অঞ্চলের মানুষ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।