[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে সুশৃঙ্খল, নির্বাচনে বিজয় আমাদের ঘরে দেবে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাঙ্গামাটি জেলার অংগ সংগঠনের উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত দলের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে সম্প্রতি জেলা দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন এর সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয় পাহাড়ের সময় এর সম্পাদক ও প্রকাশকের সাথে। অতীত এবং বর্তমানে দলের মাঠ পর্যায়ে অংগসংগঠনের সকল নেতা-কর্মী ও জনগনের সাথে সম্পের্কের সার্বিক বিষয়াদি সাদামাঠা এবং সুন্দরভাবেই জবাব দিয়েছেন জনগন ও দলীয় নেতাকর্মীদের অধিকারের প্রতি সম্মান রেখে। তাই তিনি পার্বত্য রাঙ্গামাটিতে সকলকে নিয়েই সুন্দরভাবে এগুতে চান বলে জানিয়েছেন।

রাঙ্গামাটি জেলা দলের নেতৃবন্দের কার্যক্রম কেমন মনে হচ্ছে ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- দেখুন জেলা দলের সকল নেতৃবৃন্দের মধ্যে সোহার্দ্য এবং ভাতৃপ্রতিম মনোভাবে সকলেই দলকে সুসংগঠিত রাখতে যার যার দায়িত্ব সুন্দরভাবেই পালন করছেন। রাঙ্গামাটি জেলাতে দুইটি পৌরসভা এবং ৪৯টি ইউনিয়ন ও ৪৬৮ ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দরাও স্ব-স্ব এলাকার সাংগঠিনক কাজ সু-সংগঠিতভাবেই করছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনাকে গরুত্বের সাথেই সবাই এগিয়ে নিচ্ছে। নতুন ভাবে দল পূনর্গঠন ভালো সংগঠিত হয়েছে।

সাধারণ জনগনের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন হচ্ছে এর কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব বলে মনে হয়েছে?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- দেখুন, বিগত ১৭টি বছর আওয়ামীলীগের ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম আমাদেরকে বাধা দিয়েছে, নানান ভাবে হয়রানি করেছে, তারা বাধ্য করতে চেয়েছে জনগনের কাছে যাতে যেতে না পারি। কিন্তু দলীয় কার্যক্রমে আমরা কখনোই পিছ পা হইনি। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে এখন আমরা সরাসরি জনগনের কাছে যেতে পারছি। জনগন যথেষ্ট সারা দিচ্ছে, এমন কি না ডাকতেও তারা এগিয়ে আসছেন। এটি আমাদের ধৈর্য্য এবং রাজনৈতিক সহনশীলতা। তাই সাধারণ জনগনের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব মনে করছি।

উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের কাছে ফলপ্রসু আশা করা যায় কি ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- হ্যাঁ, অবশ্যই তারা প্রত্যেকেই যার যার সেক্টরে দল এবং জনগনের কল্যাণে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রীয় এবং জেলা দলের নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করেই কাজ করছে। তাদের ত্যাগ ও পরিশ্রম দলের জন্য সুফল আনবে। তাই আমরা হতাশও নই।

আওয়ামীলীগের ১৫ বছরের ক্ষমতায় বিএনপির নোকর্মীর বিরুদ্ধে কি পরিমান মমলা হয়েছে ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- আওয়ামীলীগের ফ্যাসিবাদীরা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দিয়েছে। অবহেলিত জনগনের জন্য কথা বলতে দেয় নি। তাদের প্রতিহিংসার চরিত্রের কারনে আমাদের নেতাকর্মীদের ভয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। আরো বেশী মামলা হতো, কিন্তু বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দের সাথে জনগনের সুসম্পর্ক থাকায় তারা বেশী এগুতে পারেনি।

জেলা কমিটিতে নেতৃবৃন্দের মাঝে বিভিাজন আছে বলে মনে হয় কি ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- বিভাজন থাকলেতো এত দ্রুত সংগঠিত হতে পারতাম না। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সবাই এক হয়েই কাজ করছেন। জেলায় সকল নেতৃবৃন্দের মাঝে কোন বিভাজন দেখছি না। রাঙ্গামাটির সকল উপজেলায় জনগনের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সাংগঠনিক সভা অব্যাহত রয়েছে। তাই দলের বর্তমান সার্বিক নেতৃত্ব খুবই শক্তিশালী বলতে পারছি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনীতির পরিবেশে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কেমন নেতৃত্ব প্রয়োজন ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- হ্যাঁ, অবশ্যই চ্যালেঞ্জতো আছেই। এখানে ক্ষদ্র ক্ষুদ্র জাতি স্বত্তার তাদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে, প্রাপ্তির বিষয়ে তাদের জন্য আমাদের শ্রদ্ধা আছে। তবে এই দেশ আমাদের সকলেরই। এখানে আমরা সকলকে নিয়েই সুন্দরভাবেই এগুতে চাই। কিন্তু আমাদের দলীয় কাজে কেউ বাঁধার সৃষ্টি করলে ছাড় দেব না। দেখুন স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সহ ৩০লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন, ২লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন একটি পতাকা আমরা পেয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের অখন্ডতা নিয়ে যেকোন অভ্যন্তরীণ বহির্শক্তি দেশের অখন্ডতা ও স্বাধীনতা নিয়ে দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে বিএনপি’র সকল নেতৃবৃন্দের মধ্যে যে নেতৃত্ব রয়েছে এখানে কোন প্রকার শৈতুল্য দেখাবে না।

রাঙ্গামাটি জেলা জুড়ে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহে কেমন সারা পাচ্ছেন ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- দেখুন দলকে সু-সংগঠিত করতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উৎসাহ উদ্দীপনায় সদস্য নবায় কার্যক্রম চলছে। তবে নতুন সদস্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই শত এবং পৌরসভা এলাকায় তিন শত আমাদের লক্ষ্য যা পূরণ হচ্ছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নতুন সদস্য সংগ্রহের তৃণমূল পর্যায়েও জাতীয়তাবাদী দল এর প্রতি আস্থা ও বিশ^াসের মর্যাদা দিয়ে রাজনীতিতে আগ্রহী ও সমর্থকরা ভালো সারা দিচ্ছেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থী নির্ধারণে জেলা দলের প্রত্যাশিত নাকি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। রাঙ্গামাটি ২৯৯ আসনে আমাদের প্রার্থী কে হবেন সেটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। বিগত সময়ে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাদের বিষয়ে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের মতামতও কেন্দ্র নেবে তাই মাঠ পর্যায়ে জরীপও চলছে। তবে আমাদের মতামতেরও অবশ্যই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা গুরুত্ব দেবেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি মাঠ পর্যায়ের জরীপ করে যাকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষানা করবে আগামী নির্বাচনে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি সহ অংগসংগঠনের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ তাকে নিয়েই মাঠে কাজ করবে। জনগনের সাথে আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। নির্বাচনের জন্য মানুষের যে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে রাঙ্গামাটি জেলার সকল জাতিগোষ্ঠী বিজয় আমাদের ঘরে দেবে।

জেলা দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে সবাইকে কতঠুকু মুষ্টিবদ্ধ করতে পেরেছেন ?
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনঃ- দেখুন জেলা দল আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছে তা স্বচ্ছতার সাথেই পালন করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে সকল নির্দেশনা দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন তা পালনে আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দলের সৃংখলা ভঙ্গে এবং অনৈতিক কর্মকান্ডে যারা জড়িত হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করছি, আমাদের মাঝে বৈষম্য নেই সেক্ষেত্রে উৎসাহ নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হয়েই দলীয় কাজ করছে সবাই। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি নেতৃত্বে ও সাংগঠনিকভাবে সুশৃঙ্খল।

ধন্যবাদ,
আপনাকেও ধন্যবাদ।