পাহাড়ের সময় এর মানবিক প্রতিষ্ঠান পিছিয়েপড়া অসহায়, দরিদ্রদের শিক্ষা, সাংস্কৃতির কল্যাণ সরসী “তেঁতুলপাতা”
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনো পিছিয়ে রয়েছে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে। সরকার, জনপ্রতিনিধি সহ দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থা কাজ করছে। তাদের সহযোগীতা সার্বজনীনভাবে সবাই কোন না কোন ভাবে তা পাচ্ছেও। এছাড়াও বর্তমানে পিছিয়ে পড়াদের উন্নয়নে নানাভাবে সেনাবাহিনী, বিজিরি সদস্যরা মানবিক সহায়তার কাজ পূর্বের চাইতে আরো বেশী সহযোগীতা করে আসছে। এর পরও প্রত্যন্ত অনেক অঞ্চলে বা গ্রামের অসহায় দরিদ্র জনগোষ্টির সন্তানরা শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিতে পিছিয়ে রয়েছে। পিছিয়ে থাকার মধ্যে বিশেষ করে শিক্ষা খাতে অনেকে পড়ালেখা শুরু করতে পারছে না, কেউ কেউ প্রাথমিকে গিয়ে ঝড়ে পড়ছে। আবার অনেকে কিছুদুর এগিয়ে আর এগুতে পারছে না। এসবের মধ্যে আয়-রোজগার কম হওয়াতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, কোন কোন পরিবারের দারিদ্রতার কারনে তাদের সন্তানরা মেধার প্রকাশ ঘটালেও আর্থিক দৈন্যদশায় তারাও পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই এই পিছিয়ে পড়াদের সহযোগীতা করতে ও তাদের কল্যাণে পাশে থাকতে সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় পরিবার মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে।
সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় প্রকাশনা ৮ম বছরে পদার্পণ করেছে। রাষ্ট্রের ও জনগনের কল্যাণে এবং সকলের উন্নয়নে যথটুকু সম্ভব অমারাও চেষ্টা করেছি সবার পাশে থাকতে। লেখনির মাধ্যমে ন্যায় অন্যায়গুলোকে সাবলিলভাবেই উত্তাপন করেছি পাঠকের কাছে। সংবাদ প্রকাশে প্রতিপক্ষের সৃষ্টি না হয় এমন চেষ্টাও আমাদের ছিল। একটি রাষ্ট্রের সার্বিক সকল দিকের উন্নয়নে, মানুষের অধিকার, শান্তি শৃঙ্খলা এবং সমাজের কল্যাণে দেশের গণমাধ্যমের ভুমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন তার কাছ থেকেও মানুষ অনেক কিছু আশা করে। আমরা মানুষের সহযোগীতা নিয়ে এবং উদ্যোক্তা হয়ে অসহায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখায় মেধাবীদের পাশে থাকতে চাই। তাই এবার আমরা পাহাড়ের সময় প্রকাশনা এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আনাচে কানাচে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া বা অবহেলিতদের পাশে থাকতে চাই, ভালো উদ্যোক্তা হয়ে ভুমিকাও রাখতে চাই। সকলের সহযোগীতায় এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ এবং মানবতার কল্যাণে দেশ ও সমাজে অবদান রাখতে এর কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তাই দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সন্তান যারা পড়ালেখায় ও নিজস্ব সাংস্কৃতিতে পিছিয়ে রয়েছে ঐসব পিছিয়ে পড়াদের জন্য সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় এর মানবিক প্রতিষ্ঠান “শিক্ষা, সাংস্কৃতির কল্যাণ সরসী “তেঁতুলপাতা”।
‘প্রবাদে বলে দশের লাঠি একের বোঝা’ আমরা সমাজের সেই সব দশের সহযোগীতা চাইছি যেন মানবতা, মানবিকতা নিয়ে সমাজের দরিদ্র এবং অসহায় পরিবারের পিছিয়ে পড়াদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতির উন্নয়নের জন্যই হাত বাড়িয়ে দিতে। আমাদের আশপাশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক অনেক ছাত্র ছাত্রী রয়েছে যারা অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাদের মাঝেও অনেকে রয়েছে যথেষ্ট মেধার অধিকারী কিন্তু তারা দ্রুত ঝড়েও পড়ছে দরিদ্র বাবা-মা’র আর্থিক সংকটের কারনে। আমরা সেই সব ছাত্র-ছাত্রীকেই নিখুঁতভাবে খুঁজবো যাদের মেধা রয়েছে অথচ আর্থিক সংকটে এগিয়ে যেতে পারছে না পরিবারের অক্ষমতায়, তাই আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে তারা যাহাতে পিছিয়ে না পড়ে কিংবা শিক্ষা ও মেধা থেকে ঝড়ে না পড়ে। ঠিক একইভাবে নিজস্ব সাংস্কৃতিকে ধরে রাখতেও আমরা সেই সব অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মেধাবীদের জন্য সহযোগীতার হাত বাড়াবো। আমাদের এ প্রচেষ্টায় অন্য বা ভিন্ন কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য যে, আমাদের আশপাশে লুকিয়ে থাকা অসহায় ও দরিদ্র মেধাবীদের খুঁজে নেওয়া এবং সবার সহযোগীতায় সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়ানো।
এ প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জনে আমাদের একক প্রচেষ্টায় তা কখনোই সম্ভব নয়। আমরা শুধুই ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের সমাজে যারা স্বাবলম্বী, সফল মধ্যবিত্ত পরিবার বা এর সদস্য, সক্ষম ব্যবসায়ী, ধনী ব্যক্তি, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান সহ আগ্রহী সকলের সহযোগীতা আমরা চাই। আমাদের এ উদ্যোগ এবং উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান “শিক্ষা, সাংস্কৃতির কল্যাণ সরসী “তেঁতুলপাতা” এর অগ্রযাত্রায় কোন ছলনা এবং ছলচাতুরী কিংবা কারো আস্থা, সহানুভুতি, সহযোগীতা এবং ভালোবাসার সুযোগকে কোনভাবেই আঘাত করা হবে না এই প্রতিশ্রুতিও নিশ্চিত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই প্রতিষ্ঠানের কাজকে এগিয়ে নিতে সকলের কাছে নিশ্চয়তা এবং নিশ্চিত করতে সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রশাসিনক আজ্ঞাদেশ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা ব্যাংক হিসাব খুলেছি এছাড়াও সুবিধার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং ০১৮৮৬০০২০২৪ নাম্বারটি বিকাশ/নগদ হিসাব লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, এ হিসাবে সুহৃদ্ বন্ধুর ১০ টাকা থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগীতা দেওয়া যাবে। সুহৃদ্ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় ভালো উদ্যোক্তা হিসাবে সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় এর মানবিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান পিছিয়েপড়া অসহায়, দরিদ্রদের “শিক্ষা, সাংস্কৃতির কল্যাণ সরসী “তেঁতুলপাতা” সমাজের এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
( সীমা দেওয়ান ) ( মিলটন বড়ুয়া )
উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
ও ও
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সম্পাদক-প্রকাশক
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ,খাগড়াছড়ি সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়