[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রামগড়ে কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি জসিম, সম্পাদক দেলোয়ারযুবদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে: কাজল তালুকদারজীবিকা ও উন্নয়নের সংগ্রামে আত্মনির্ভরতার ছবি পাহাড়ের অনেক নারীখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপনমাটিরাঙ্গায় নানা কর্মসূচিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপনরামগড়ে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়মাটিরাঙ্গা জোনের অভিযানে ৯২.৭ লাখ টাকার অবৈধ কাঠ জব্দ৭দিন পর বন্ধ করা হল কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাটরাঙ্গামাটিতে বর্জ্যব্যবস্থাপনা বিষয়ে পৌরকর্তৃপক্ষের সাথে সনাকের অ্যাডভোকেসি সভারামগড়ে টাওয়ার কাজ করছে না নেটওয়ার্ক বন্ধ, চাঁদা না পওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি!
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

যুবদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে: কাজল তালুকদার

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেছেন, যুবদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এখন ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আমাদের শিখতে হবে। ক্ষেত্রগুলো তরুণদের খুঁজে বের করতে হবে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাঙ্গামাটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি এ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সহায়তায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি আরও বলেন, তরুণরা অদম্য, অপ্রতিরোধ্য এবং তারুণ্যকে উপেক্ষা বা নিপীড়নের মাধ্যমে টিকে থাকা যায় না। তিনি পার্বত্য উপদেষ্টার আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এখানে ১০০ টির অধিক বিদ্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হবে বলে সভাকে অবহিত করেন।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, তারুণ্যের শক্তিকে দমন নয়, বরং তাদের প্রাপ্য অধিকার, মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং তরুণরা তাদের কাঙ্খিক্ষত স্বপ্ন পূরণে, দাবি আদায়ের আন্দোলনে যাতে নির্ভর থাকতে পারেÑরাষ্ট্রকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তরুণদের আশা-আকাঙ্খার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন, সাম্য ও মেধাভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, সুশাসিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণই হোক এ বছর ‘‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস’’ পালনের মূলমন্ত্র।

সভায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর সিডিও বিপুল চাকমা, যুব প্রশিক্ষনার্থী সাজিনা আক্তার, জেলা প্রশাসন প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, ইয়েস সদস্য নিশা চাকমা, স্বপ্নবুনন প্রতিনিধি এস.এম. মুন্না, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ দাশ, প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুব উন্নয়নের সিনিয়র প্রশিক্ষক সুমেধা চাকমা।

সভার সভাপতি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর উপপরিচালক মোঃ শাহজাহান বলেন, যে প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হচ্ছে বিশেষ করে প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহার, এবং প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে যুবদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন। সভায় প্রায় ১৪০ জন যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শুরুর আগে একটি যুব র‌্যালী এবং মৎস্য অবমুক্তকরণ কর্মসূচী পালন করা হয়।

সভায় তারুণ্যের দাবি সম্ভাবনাময় যুব জনগোষ্ঠীকে জাতীয় অর্জনের মূল চালিকাশক্তি বিবেচনা করে টিআইবি’র ধারণাপত্রের আলোকে দশটি সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। তারমধ্যে ১. বৈশি^ক অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করে সুপরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট যুব কৌশল প্রণয়ন করতে হবে এবং স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে; ২. তরুণদের স্থানীয় উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে (যেমনÑ ওয়ার্ড কমিটি, পৌরসভা, ইউপি পরিষদে প্রতিনিধি হিসেবে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি); ইউথ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করে স্থানীয় সিদ্ধান্তগ্রহণে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; ৩. রাজনৈতিক দলের ছাত্র ও যুব শাখার দৃষ্টিভঙ্গি ও কাঠামোগত মানসিকতা পরিবর্তন করে তরুণদের বাস্তব প্রত্যাশা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ের কমিটিগুলোতে তরুণদের যথাযথ সংখ্যায় ও অর্থবহ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে; ৪. রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও নীতিগত এজেন্ডায় শিক্ষা, কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তি, লৈঙ্গিকসমতা, মাদক প্রতিরোধ ইত্যাদি যুবকেন্দ্রিক অগ্রাধিকারপূর্ণ ইস্যু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রান্তিক, গ্রামীণ, সংখ্যালঘু ও বৈচিত্র্যময় পরিচয় বহনকারীদের যুবসমাজের অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিনিধিত্বকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে; ৫. স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও তরুণদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে। তরুণদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ গড়ে তুলতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক দলগুলোর উপস্থিতি ও জবাবদিহিমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; ৬. আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তরুণ জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত ও কারিগরিভাবে দক্ষ করে তুলতে হবে; ৭. আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক শিক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; ৮. জাতিসংঘের সুপারিশ অনুয়ায়ী শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে; স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে যে-সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত থেকে তরুণরা কর্মহীন হয়েছে, সেগুলো চালুর উদ্যোগ নিতে হবে; ৯. তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা বিকাশের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প পেশার (যেমনÑ সবুজ দক্ষতানির্ভর আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) জন্য কর্মহীন তরুণ ও নতুন গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিতে হবে; ১০. সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামোতে দক্ষতার আলোকে প্রযোজ্য পরিবর্তন আনতে হবে এবং সকল চাকুরিতে নিয়োগ-প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম-প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।