তাঁগো মাইরের চোট্টে ভীতু বহুত জেঠা-জেঠি হাটে আসিলেও বস্তা-পেট্ট্রা ফালাইয়া যান বাঁচাইতে দৌঁড়াইয়াছে লগে ফাঠাছেঁড়াও হইয়াছে, চিন্তায় আছি…
ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। বৈষম্যবিরুধী আমাগো শেখের বেটি হাসিনা ক্ষেমতারে থুইয়া ভারুতে জাগিলেও হেই বৈষম্ম্যুতো পিছু ছাড়ে নাই। লুটেরার দল দেশের জেঠা-জেঠিগোর পকেট কাটিতেছে। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালা শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপুত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি-মরি আর ঝুলিয়া রহি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব জোঠাও বিপদ সামলাইতেই হিমশিমে গড়াইতেছে। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহুত জেঠাতো চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো জ¦লিতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….
ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর বহুতের ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। জেঠা কি বৈষম্ম্যুর সমাজের জোঁ-জেঠিগোর সুখ-দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। ভোরবেলা বিছানা ছাড়িয়া দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনায় মত্ত। ভটভট ইঞ্জিন চালাইয়া জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া কুঠিরে ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার জেঠা-জেঠি বহুতে কহিলো তাইনেগোরে প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কেমনে রক্ষা পাওন যায়। জোঠার নিজের ডিগ্রীও থার্ডক্লাস এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে ঝড়িয়াও পড়িয়াছে, এই হইলো জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা হুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন। সকালে বিছানা ছাড়িতে লেট। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো আবার হ্যালো হাই হাই, তয় দেশে ডেঙ্গুতে উইলকাম হইতছে। আবার বৈষম্ম্যুর নামে লুটেরা ভাইরাসের দল কাহারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই লুটেরা ভাইরাসের মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম কাম্িপউটার গেম। এই জেঠাও নানান কিছিমের রঙ্গরসের কুইশান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, লগে বায়নাও ধরে তয় আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো হেই চিন্তা লইয়া খুবই চিন্তায়ও আছি… যাউ¹া…
আমাগো পাহাড়েরর জেঠা-জেঠিরা বন্যার পানি লইয়া মহা চিন্তায় পড়িয়াছে। পাহাড়ের নিচু অঞ্চলের ঘরবাড়ি ফসলী জমি, গবাদি পশু লইয়া চরম বিপদে পড়িয়াছে। নিজের মাথা গুঁজিবে নাকি তাইনেগোর গবাদি পশুগুলাইনের ব্যবুস্থা করিবে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছুড়ি আর বান্দরবনের পাহাড়ের নিম্নাঞ্চল গাঁওগেরামের জেঠা-জেঠিরা দিনে পানি লইয়া যুদ্দ রাইতে পাহাড় ধ্বসের ভয় এইভাবে দিন কাটাইতেছে। কখন কারে পাহাড়ি ঢলের পানি ভাসাইয়া লইয়া যায় হেই ভয়েও বহুতে ঘরবন্দী হইয়া রহিয়াছে। এইবারতো এমুনভাবে কাপ্তই হ্রদের পানি বাড়িয়াছে তাহাতে খালি নিন্মাঞ্চল নয় উপরের বহুতের বাসাবাড়িতে পানি ছুঁই ছুঁই করিতেছে। কথা হইলো প্রকৃতির লগে যুদ্ধ করা যাইবে না তয় প্রকৃতির সঠিক আচরণ ঠিক করিতে হইলে আমাগো সমাজের জেঠা-জেঠিগোর আচার আচরণ সঠিক করিতে হইবে। তয় বন ধ্বংস, অবাদে পাহাড় কাটা এইসব বন্ধ করিয়া বনাঞ্চল বাড়াইতে যে যার মতন করিয়াই উদোগী হইতে হইবে না হইলে ক্ষেপা প্রকৃতি তারও আচরণ সঠিক করিবে না, চিন্তায় আছি…
অং জেঠা কহিলো তাইনের থানচিতে খুমী জনগুষ্টির মাতৃভাষা আর শিমুগোর প্রাথমিক শিক্ষাদান লইয়া হেইখানে জোনাথন খুমী জেঠা ভালা উদ্যাগ লইয়াছে। পড়ালেখা মাতৃভাষা হইতে যারা ঝড়িয়া পড়িতেছে তাঁগোরে প্রাথমিক শিক্ষা লগে মাতৃভাষা শিখাইতে নিজ উদ্যোগে গড়িয়া তুরিয়াছে ‘খুমী লাইট হাউজ ছাত্রবাস’। জোনাথন শাররীক পুতিবন্ধী হইয়াও প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার খুমী জনগুষ্টির সন্তানদের মানুষ করিতে এলাকায় এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালাইতেছে। তাইনের ‘খুমী লাইট হাউজ ছাত্রবাস’ এ এখুন পঞ্চাশেরও অধিক ছাত্রছাত্রী লইয়া খালি বাংলা ভাষাই নয় খুমী ভাষা লইয়াও তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখিয়াছে। উদ্যোক্তা শাররীক পুতিবন্ধী জোনাথন খুমীর পাশে আমাগো সমাজের সাবলম্বী প্রত্যেক জেঠা-জেঠিগোর সাহার্য্য খুবই দরকার বলিয়াই দাবি জানাইয়াছে হেইখানেরই খুমী পুরিবারের জেঠা-জেঠিরা। কথা হইলো এই শাররীক পুতিবন্ধী নিজের কষ্ট হইলেও সমাজের অবহেলিত ছোট্ট ছোট্ট জেঠা-জেঠিগোর শিক্ষা দিতে হেই উদ্যোক্তারে আগাইতে আমাগোও তাঁর পাশে থাকন দরকার, চিন্তায় আছি…
আমাগো উষা জেঠা কহিলো, বাংলাদেশ লইয়া বহুতে পুতুল খেলা খেলিতেছে। আমাগো সরকার প্রধান নির্বাচনের দিন ঘোষনা করিয়া প্রধান নির্বচন কমশিনকে চিঠি দিলেও নির্বাচন হইবে কিনা তা সন্দেহ রহিয়াছে। দেশ লইয়া যেই তালিমালি চলিতেছে তাহাতে দেশের জেঠা-জেঠিগোর মইদ্যে দিন দিন সংশয় সৃষ্টি হইতেছে। তিসি শুনিবার আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন অনুষ্ঠানে এইসব কহিলেন। তাইনে সংখ্যাগুরুগোর উদ্দেশ্যে কহিলেন আপুনারা আমাগোরে ভারবাসা দেন আমরাও হেই ভালোবাসা রাখিতে পারি কিন দেখেন। সবাই মিলিয়াই বাংলাদেশ বিনির্মাণ করিব। কথা হইলো এই মানবচক্রে কেহই কাহারেও ফেলিয়া চলিতে পারে না। যাহারা এইডা মানিতে চাহে না তাহাদের একটা সমুয় আসিবে মানিতে হইবেই, চিন্তায় আছি…
আমাগো ওয়াদু জেঠা কহিলো, যত বাঁধাই আসুক হ¹লই অতিক্রম করিয়া জনগনের অধিকার ফিরাইয়া আনিতে হইবে। দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথাচারা দিয়া উঠিতেছে। আমাগো মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতারে ধরিয়া রাখিতে স্বাধীনতা বিরোধীগোর দমাইতে হইবে। গেল বুইধবার তাইনে খাগড়াছুড়িতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিজয় র্যালি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাইনে এইসব কহিলেন। কথা হইলো স্বাধীনতা বিরোধীরা যে আস্ফালন দেখাইতেছে হেইডাতো আমাগো সুবিধাভোগী রাজনৈতিক পল্টিবাজগোর কারুনেই হইতেছে। তয় স্বাধীনতার হ¹ল শক্তিগুলাইন যদি এক মুঞ্চে না আসে তয় খবরও আছে, চিন্তায় আছি…
দহ জেঠা কহিলো তাইনের খাগড়াছুড়িতেতো ইউপিডিএফ’র দুই ব্যানারের জেঠা-জেঠিরা রীতিমতন প্রকাইশ্যে মাইর শুরু করিয়াছে। তাঁগো মাইরের চোট্টে ভীতু বহুত জেঠা-জেঠিরা হাঠে আসিলেও বস্তা-পেট্ট্রা ফালাইয়া যান বাঁচাইতে যে যেদিকেই পারিয়াছে আগাইয়াছে আর দৌড়াইয়াছে লগে ফাঠাছেঁড়াও হইয়াছে। এইসব লইয়া আমাগো সাম্বাদিকরা জানিতে চাহিলে উভয়ই অস্বীকার করিয়াছে। কথা হইলো সাধারণ জেঠা-জেঠিগোরে কি ভুতে কিলাইয়াছে না কি বন্দুক মারিয়াছে, চিন্তায় আছি…
মুবি জেঠা কহিলো তাইনের নাইক্ষ্যংছুড়ির সীমান্ত এলাকায় বাশঁ কড়ল আনীতে যাইয়া কিশোরী লাকি সিং এর এক পা মাইনের আঘাতে উড়িয়া গিয়াছে। হেইখানে সীমান্তে ক’দিন পর পরই খালি স্থলমাইন বিস্ফোরণ হইয়া খালি জেঠা-জেঠিগোরে উড়াইয়া লইয়া যইতেছে। অসহায় জেঠা-জেঠিরা কহিলো মিয়ানমারের আরাকান আর্মিরা সীমান্ত এলাকায় মাটিতে খালি মাইন পুঁতাইয়া রাখিয়াছে। যা মনে ইতেছে হেইখানে আমাগো অভাগা জেঠা-জেঠিরা যে অবুস্থায় পুড়িয়াছে মনে হইতেছে আর ক’দিন পরে টয়ুলেটেও যাইতে পারিবেনা, চিন্তায় আছি…
আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো আর কত্ত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হইয়াছে, দেশের চেয়ার-টেবিল পাল্টাইয়াছে চরিত্র একই নিয়মের রহিয়াছে। অবৈধভাবেই বছরের পর বছরই জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারী হইয়া রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, রাহাজানি চুইংগামের মতন লম্বা হইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আচমকা গন্ডোগোল আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইয়াছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…
ভাইপো-রে পাহাড় সমতলে কতো রকুম-বেরকুমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….
ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
১০ আগষ্ট ২০২৫ খ্রিঃ রবিবার