বান্দরবানের থানচিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত
॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
‘আদিবাসী জনগণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’– এই মূল প্রতিপাদ্যের বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের আহ্বানে বান্দরবানের থানচিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার (৯আগষ্ট) সকালে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রধান সড়কসহ বাজারে অলিগলিতে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি।
উপজেলা মাল্টিপারপাস হলরুমে সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বকুলী মারমা সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে নিজস্ব সংস্কৃতিতে নাচ গান পরিবেশন করা হয়। এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, যুব-সমাজ ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছেন।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখছেন, যুব নেতা রেইংচিং ম্রো, যুব নেতা সিংওয়াইমং মারমা, শিক্ষক বেনেডিক ত্রিপুরা, সাবেক রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মালিরাম ত্রিপুরা, এনজিও কর্মী অন্তর খিয়াং, ছোট মদক মৌজার হেডম্যান শিমন ত্রিপুরা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা (অনুপম) ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা (পকশৈ) প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালকে জাতিসংঘ প্রথমবার ‘আদিবাসী বর্ষ’ ঘোষণা করে। পরের বছর ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৯ আগস্টকে আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এবং তা পালনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানানো হয়। এরপর ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’ ২০০১ সালে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করতে শুরু করে। বাংলাদেশে ৫০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিয়েছে। এরই মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, বম, খুমি, খিয়াং, পাংখোয়া, লুসাই, তংচংঙ্গা, চাকসহ ১১টি ভাষা ১৩ টি জাতিসত্বার মানুষের বসবাস। যাদের মধ্যে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে।