রাঙ্গামাটির কাপ্তাইস্থ ব্যাঙছড়ি সড়কের সংযোগ ব্রিজ দুই বছরেও সম্পন্ন হয়নি
॥ কাপ্তাই উপজেরা প্রতিনিধি ॥
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের ব্যাঙছড়িস্থ নির্মানাধীন ব্রিজ গত দীর্ঘ দুই বছরেও সম্পন্ন হয়নি। দৃশ্যমান কোন কাজ না করার ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ব্রিজটি সম্পন্ন না করাতে পাশের সড়কেই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। স্থানীয় জনসাধারণ কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।
জানা গেছে, কাপ্তাই চট্টগ্রাম-সড়ক এর ব্যাঙছড়িস্থ সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সড়ক সংযোগ ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ না করার ফলে ভাঙ্গা ও বিকল্প সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানচলাচল করতে ভয় পাচ্ছে চালক ও যাত্রীগন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এই কাজের গতি থেমে গেছে। বর্তমানে মন্থরগতিতে চলছে ব্রিজের নির্মাণ কাজ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই বছরে কাপ্তাই ব্যাঙছড়িস্থ সংযোগ সড়কের ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট নির্মাতা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একটিমাত্র ব্যাস করে অপরটি এখনো করেনি। অন্য ব্যাসটি কখন করা হবে তার কোন ইয়ত্তা নেই। কাপ্তাই ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ার কারনে পাশের বিকল্প আগের ভাঙা সড়ক দিয়েই যানবাহন ও যাত্রী সাধারণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এটির কাজ কখন সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। নির্মাণ কাজের জন্য আনা লোহার রড যত্রতত্র ফেলে রাখায় মরিচা পড়েছে।
অটোরিকশা চালক আবু বক্কর জানান, গত দেড় থেকে দুই বছরও কাজের কোন অগ্রগতি দেখিনা। আমরা বিকল্প ভাঙা সড়ক দিয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে আতংকে থাকি। ব্রিজটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত নেলী রুদ্র নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইউএনও অসুস্থ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সড়ক সংযোগ ব্রিজটি সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার কাজ। ব্রিজের একটি মাত্র ব্যাস নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। অন্যটির কাজ এখনো সম্পন্ন করা হয়নি। অন্যটির ফাইলিং/বড়িং করতে গিয়ে প্রায় সাতফুট মাটির নিচে শক্ত পাথর থাকার কারনে সেইটি আর করা হয়নি। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সড়ক-জনপদ ও সেতু বিভাগ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা পেলে পরবর্তী করনীয় কি হবে সেই ভাবে কাজ করার কথা জানান। তবে সড়কের ব্রিজটি নির্মাণে সময়ও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান।