নারীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি জেলা শিক্ষা অফিসার সরিৎ কুমার চাকমা বলেছেন, রাঙ্গামাটিতে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে নারীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে (২৪ জুলাই) জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষের সাথে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর অ্যাডভোকেসি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় আলোচ্যসূচিসমূহকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট এর পাশাপাশি নারী বান্ধব কর্ণার, স্যানিটারী প্যাড স্টোর, টিস্যু ইত্যাদি রাখতে পারলে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসএসসি ফলাফলে পাশের হার বৃদ্ধিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিভাকদের সচেতন ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষক সংকট দূরীকরণে এনটিআরসিএ আদলে স্থানীয়ভাবে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়ন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায়, অভিভাবক ছাত্র সু-সম্পর্ক বজায় রাখা, বিদ্যালয়ে সকল বিষয়ে পাঠদান, ছাত্র ছাত্রীদের লাইব্রেরী ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে।
সনাক সভাপতি প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা এর সভাপতিত্বে টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর বেনজিন চাকমার সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সনাক সদস্য ও শিক্ষা উপ কমিটির আহ্বায়ক অঞ্জুলিকা খীসা। তিনি চলামান প্যাক্টা প্রকল্প সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের জন্য দুর্নীতি হ্রাস এবং সেবা প্রদান কার্যক্রমে শুদ্ধাচার বৃদ্ধি। প্রকল্পের বাস্তবায়নে খাতসমূহ যেমন-স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি ও পরিবেশ (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ইত্যাদি খাতের সাথে কাজ করছে বলে সভাকে অবহিত করেন। তিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসিজি’র মাধ্যমে কমিউনিটি অ্যাকশন সভা ও কমিউনিটি মনিটরিং এর মাধ্যমে চিহ্নিত ইস্যুর আলোকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে অ্যাডভোকেসি সভার মাধ্যমে কিভাবে জেলার সকল বিদ্যালয়ে এমপ্লিফিকেশন করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সনাক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন ও একতাবদ্ধ করার চেষ্টা করে। আমরা প্যাক্টা প্রকল্পের আওতায় অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছি। অ্যাকটিভ সিটিজেন্স গ্রুপ (এসিজি) এর কাজের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি কমবে বলে আমরা আশা করি। এছাড়া সভায় ইয়েস সদস্য নিশা চাকমা ও সনাক সদস্য সীমা দেওয়ান প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন।