[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
থানচিতে বংয়ক হেডম্যান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনচন্দ্রঘোনায় ধ্রব সংস্কৃতি পরিষদের বিজয়ীদের মাঝে সনদ বিতরণহুন্ডা আর গুন্ডা ভাড়া করে নির্বাচন ঠান্ডা করার চিন্তা বাদ দেন: অ্যাড. মোখতারমাইনীমুখ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি- হাসেম, সম্পাদক- আলাউদ্দিনকাপ্তাই-এ ২২৭জন কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ১৭২ কোটি টাকায় লামায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ শুরুরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুস্থদের মাঝে ভিজিডি চাল বিতরণলক্ষ্মীছড়িতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনজাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি গণমানুষের দল: আবু তালেবধানের শীর্ষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামায় সাড়ে ৬ লাখ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংস

॥ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের লামায় কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষার স্বার্থে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২জুলাই) বিকালে লামা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড শিলেরতুয়াস্থ সাইমুম নার্সারীতে ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন এর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আশরাফুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাকিলা আক্তার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লা-হিল মারুফ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল ইসলাম, লামা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সহ প্রমূখ।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের জন্য হুমকি হওয়ায় কৃষি প্রনোদনার মাধ্যমে এসব গাছের চারা উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আজ আমরা লামা উপজেলায় সাইমুম নার্সারীতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করলাম। নার্সারি মালিককে প্রতিটি গাছের চারার বিপরীতে চার টাকা করে প্রণোদনা প্রদান করা হবে। এ নার্সারীতে ১ লাখ ৫৫ হাজার চারা ধ্বংস করা হয়েছে। উপজেলা মোট ৬ লাখ ২৭ হাজার চারা ধ্বংস করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার বাকি গাছের চারা ধ্বংস করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, সারাদেশে আকাশমণি-ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংসে মাঠপর্যায়ে অভিযান শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর এ কার্যক্রম শুরু হলো। পরিবেশ ও মাটির ক্ষতি করে এমন গাছ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় সরকারি উদ্যোগে এসব চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ কারণে কৃষি বিভাগের অধীন মাঠপর্যায়ের কর্মীরা নার্সারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে গাছের চারা ধ্বংস করছেন। সঙ্গে প্রতিটি গাছের জন্য দেওয়া হচ্ছে ৪ টাকা করে প্রণোদনা। পাশাপাশি নার্সারি মালিকরা আর এ চারা উৎপাদন করবেন না এমন অঙ্গীকারও করছেন।

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আগ্রাসী এসব প্রজাতির বদলে নারিকেল, আম, কাঁঠাল, নিম, তালসহ নানা দেশি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১৫ মে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা তৈরি ও রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন দেয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।