রাঙ্গামাটিতে ব্যবসায়ীর ত্রি-খণ্ডিতি লাশ উদ্ধার, ঘাতক স্বামী-স্ত্রী ফেফতার
॥ মোহাম্মদ আলী ॥
রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় অপহরণের নয়দিন পর মোঃ মামুন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দী ত্রিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫জুলাই) উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের নাইলেছড়ির মাঝেরপাড়া এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত মামুন কাউখালী উপজেলার সুগারমিল আদর্শগ্রাম এলাকায় বাসিন্দা আলী আহম্মদের ছেলে বলে জানা গেছে। তিনি ঐ এলাকায় পোলট্রি ব্যবসা করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই বিকেলে নিখোঁজ হন মামুন। সেদিন রাতে মামুন তার স্ত্রীকে ফোন করে ব্যাংকের দুটি চেক রানীরহাট এলাকার আনোয়ার এর কাছে পৌঁছে দিতে বলেন। এরপর থেকেই মামুনের সাথে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন (৮ জুলাই) মামুনের স্ত্রীর ফোনে মামুনের নম্বর থেকে ফোন করে অপহরণের কথা জানানো হয় এবং ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে বলা হয়। সেই রাতেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন অপহৃতের স্ত্রী। এরপর তাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে কাউখালী থানা পুলিশ। আটক করা হয় চেক গ্রহণকারী আনোয়ার (২০) নামে এক ব্যক্তিকে। পরে তার দেওয়া তথ্যে উঠে আসে মামুনের সাবেক কর্মচারী কামরুলের নাম।
সোমবার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় লক্ষ¥ীপুর জেলার ভবানীগঞ্জ থেকে কামরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের মাঝের পাড়া এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাটিতে পুঁতে রাখা মামুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ হেফাজতে কামরুল স্বীকার করেন, মামুনকে রানীরহাটে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে চায়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর স্ত্রী সাথী আক্তারের সহায়তায় হত্যা করে তার মরদেহ দ্বিখণ্ডিত করেন। পরে বস্তায় ভরে কাউখালীর মাঝের পাড়া এলাকায় মাটিচাপা দেন।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। প্রধান আসামী কামরুল তার স্ত্রী সাথী আক্তার এবং চেক গ্রহণকারী আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত কামরুলকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওসি জানান।