[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানে রাতের অন্ধকারে জিয়া স্মৃতি সংসদ অফিস ভাঙচুরআলীকদমে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারা বিতরণবান্দরবানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাতি সহ ৩ জনের মৃত্যু, আহত-৭দীঘিনালায় উদ্ধার করা ময়না ও টিয়া পাখি বনে অবমুক্তরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাবান্দরবানের থানচিতে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যাবাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন দায়িত্বে মাবুদ, আনোয়ার ও মহিউদ্দিনরাঙ্গমাটিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নয় বছর পর এটিই প্রথমরাজস্থলীতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, জ্বর ও পেট ব্যথার রোগী বেশীবান্দবানের থানচিতে ক্যান্সার আক্রান্ত মা’কে বাঁচাতে ছেলের প্রানান্ত চেষ্টা, প্রয়োজন ২ লক্ষ টাকা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাতি সহ ৩ জনের মৃত্যু, আহত-৭

॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের চিম্বুক এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দাদি-নাতি সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো ৭জন। রবিবার (১৩জুলাই) রাতে সুয়ালক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাংলাই চেয়ারম্যান পাড়া এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

নিহতরা হলো, উরকান ম্রো (৬৫), তুমলে ম্রো (১৬) ও রোওলেং ম্রো (৩৫)। তারা একই পাড়ার বাসিন্দা। আহতরা পাশ্ববর্তী গ্রামে সিংচ্যং পাড়া বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত ১টার দিকে চিম্বুক পাহাড়ের ঘেষা রাংলাই চেয়ারম্যান পাড়ায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার শর্ট সার্কিট হয়ে বিকট শব্দ হয়। ট্রান্সফার থেকে ব্যবহৃত দু গ্রামে ২৭টি পরিবারের ম্রোদের ঘরে হঠাৎ বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে। ঘরে থাকার বিভিন্ন সুইচ বন্ধ করতে গেলে বিদ্যুতেরশর্ট লেগে সিংচ্যাপাড়া গ্রামে আহত হন অন্তত ৭ জন। সেসময় ফ্রিজের সুইচ বন্ধ করতে গেলে ১৬ বছর বয়সী তুমলে ম্রো (১৬) বিদ্যুপৃষ্ট হয়। পরে নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে উরকান ম্রো (৬৫)’র ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। একইভাবে পাশের বাড়িতে সুইচ বন্ধ করতে গেলে রোওলেং ম্রো(৩৫) মারা যান। এঘটনাটির পর ওই এলাকার শোকের ছায়া বইছে।

এলাকবাসীর অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারটি প্রায় সময়ে আগুন জ্বলে বিকট শব্দ হত। এবিষয়টি জানানো হলে কোন ব্যবস্থা নেননি বিদ্যুৎ বিভাগ। তাছাড়া বিদ্যু বিভাগের গাফিলতি ও টাকা ছাড়া কাজ করেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিস এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সিংচ্যা ও রাংলাই চেয়ারম্যান পাড়া বাসিন্দা পারও ম্রো ও লংরাও বলেন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় ট্রান্সফরমার নানা সমস্যা কারণে বিদ্যু বিভাগকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু একাধিকবার জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেননি। আর বিদ্যু কাজ করতে হলে বিদুৎ বিভাগে লোকজন টাকা খোজে। টাকা দিলে আসবে টাকা না দিলে। এইটি সম্পূর্ণ বিদুৎ বিভাগের গাফলতির। যার কারণে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে তিজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। মা ও মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে রেংখেন ম্রো। তিনি বলেন, আমার গোছানো পরিবার সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার মেয়ে ও মা বিদ্যুপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। আমি সরকারে কাছে এর সঠিক বিচার চাই।

সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, রাতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিনজন মারা গেছে। অভিযোগ বিষয়ে জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম আমির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি ধরেননি।

ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রউক বলেন, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে আর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।