[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধান উপুদিষ্টা ড.মু. ইনুস দাদু’র নিকট খোলা চিঠি-০৩কথা হইলো পাহাড় নষ্টের ডিরেক্টরগোর পান্ডুলিপি হয় টানিয়া ছিঁড়িতে হইবে নয় কেঁচি মারিতে হইবে, চিন্তায় আছি…পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়াকে না বলতে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবেবাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফোরাম এর সভাপতি সোহেল, সম্পাদক রিতা তঞ্চঙ্গ্যাঁবান্দরবানের লামায় রূপসীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনিআলীকদমে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি আটকদীঘিনালায় ট্রাফিক সেবায় যুব দল-ছাত্র দল-সেচ্ছাসেবক দলবাঘাইছড়িতে জামায়াতের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিতমাটিরাঙ্গায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ১রামগড়ে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়াকে না বলতে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ একটি সময় পার করেছিল ম্যালেরিয়া জ¦র হলেই মৃত্যু এই ভয় নিয়ে। প্রতিবছরের মাঝামাঝি সময় এই ভয়টি বেশি বেশি কাজ করতো। বিশেষ করে জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মশার উপদ্রব বেশি হতো তার কারণ ছিল এসময় মশার প্রজনন এবং বংশ বৃদ্ধিও সময়। পরিবারের কোন সদস্য ম্যালেরিয়া জ¦রে আক্রান্ত হলেই সকলের মাঝে একটি ভয় কাজ করতো সেটি হলো বাঁচানো যাবে তো? ঠিক এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে আক্ষেপ ছিল অসুখ যাই হোক অন্তত ম্যালেরিয়া যেন না হয়। ম্যালেরিয়ার ভয়ে সরকারি চাকুরিজীবিরাও পার্বত্য চট্টগ্রামে আসতে চাইতেন না। চাকরি এবং সরকারি আদেশের কারনে আসলেও পরে বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির করে যে কোনভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে যেত। ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো জন্য সরকার, স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও ব্রাক এর উদ্যোগে অবশেষে এ রোগ কমতে থাকে এবং একটি পর্যায়ে মৃত্যুও হার একেবারে কমে আসলে ভীতি চলে যায়।

আমরা স্বাস্থ্য বিভাগগুলোর সুত্রে জানতে পারছি ম্যালেরিয়া রোগ আবারো মাথাচাড়া দিয়ে জাগতে চাচ্ছে। এর কারণ হলো প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণ তার মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হওয়ার কারনে প্রতিবছর ম্যালেরিয়া জ¦রে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ছে। শুধু তাই নয় ধীরে ধীরে এর বৃদ্ধিও হচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলায় এ রোগ বাড়তে থাকলেও এখন মানুষের মাঝে ভয়ও বাড়ছে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জেলা উপজেলায় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডাক্তারের চরম সংকট। তারমধ্যে এ রোগের বৃদ্ধির মূল কারণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষ এখন আগের সেই সচেতনতাকে কাজে লাগাচ্ছেন না। মশারী না টাঙ্গিয়ে রাতযাপন করা একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ব্রাকও মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ঢিলে দেওয়ারও একটি কারণ। এভাবেই প্রতিবছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ম্যালেরিয়া জ¦রে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, রাঙ্গামাটিতে চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া। দশ উপজেলার মধ্যে বিশেষ করে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী রাঙ্গামাটির ৪টি উপজেলা জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি এবং বিলাইছড়িতে ম্যালেরিয়া রোগের প্রার্দুভাব বেড়েই চলছে। গত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এই ৫ মাসে ৪ উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৭ জন। এছাড়া বাকী ৬ উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১২৯ জন সহ মোট আক্রান্ত ৬৭৬ জন। তবে এ রোগে এখনও পর্যন্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পরিবেশ সচেতন মানুষের ধারণা যে, আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সারা বছরই ম্যালেরিয়া রোগী ধরা পড়ছে। রক্তপরীক্ষায় ম্যালেরিয়া জীবাণু ধরা পড়লে, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অবহেলা করলে, সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

রাঙ্গাামাটি জেলা সিভিন সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ৫ মাসে রাঙ্গামাটিতে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৬৭৬ জন। এরমধ্যে রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ১৫জন, বরকল ৮৪ জন, বাঘাইছড়ি ৯৯ জন, কাউখালী ১ জন, বিলাইছড়ি ১৫৬ জন, কাপ্তাই ২৯ জন, জুরাছড়ি ২০৮ জন লংগদু ৭ জন, রাজস্থলী ৬৩ জন নানিয়ারচর ৩ জন এবং রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে রয়েছে ১১ জন সহ মোট ৬৭৬ জন। তবে এরমধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি,বাঘাইছড়ি এবং বরকলে বেশি আক্রান্ত রোগী ৫৪৭ জন। তাহলে বাকী দুই উপজেলার পরিস্থিতিও তার কোন কমতি হবে না। তাই ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে আমাদের সকলের মাঝে যেমন সতেনতা বৃদ্ধি করতে হবে তেমনি সরকার ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ব্রাক-কে দ্রুত উদ্যোগে ও একযোগে কাজ করতে হবে।