বান্দরবানের লামায় প্রশাসনের অভিযান, বালু উত্তোলনে ২জনের সাজা
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত এবং হাতেনাতে আব্দুর শুক্কুর ও মোহাম্মদ আলতাজ মিয়া নামে ২ জন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ২টা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ ধারায় অভিযুক্ত করে মোবাইল কোর্টে আব্দুর শুক্কুরকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং মোঃ আলতাজ মিয়াকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আব্দুর শুক্কুর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মালুম্যা এলাকার চান মিয়ার ছেলে এবং মোঃ আলতাজ মিয়া একই ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকার মৃত মোস্তাক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এখনো আওয়ামীলীগের দলীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন এ পরিবেশ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতারকৃতরা ছাড়াও উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা মহরম আলী, ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়া, যুবলীগ নেতা আলা উদ্দিন, আব্দুস শক্কুর, রমজান আলী, আবুল হোসেন, জসিম ড্রাইভার, কালুসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বেপরোয়া বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো বালু মহল নেই। কিন্তু থেমে নেই অবৈধ বালু উত্তোলন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাগাইছড়ি খাল থেকে ১৫/২০টি শ্যালো মেশিন দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন মামুন বলেন, আগে শুধু আওয়ামী লীগের লোকজন অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল, আর এখন বিএনপি আওয়ামী লীগ মিলে এ অবৈধ বালু উত্তোলন করে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে কিছুদিন আগে বাগাইছড়ি থেকে ছাগল্লা ঝিরি এলাকায় যাতায়াত করার জন্য বাগাইছড়ি খালের ওপর র্নিমিত বেইলী সেতু ভেঙে কিছুই নাই। বগাইছড়ি ব্রিজ যে কোন সময় ধসে পড়ে যেতে পারে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করি। আটককৃত ২ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। লামায় নির্বিচারে পাহাড় কাটা, পাথর ও বালু উত্তোলনে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।