[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবি জব্ধ করেছে কোটি টাকার বার্মিজ সিগারেটকাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক অনেক মনোমুগ্ধকর: বন সচিববৃষ্টি ও কাঁদাপানি মাড়িয়ে ঋতুপর্ণার অসুস্থ মাকে দেখে গেলেন রিজভীখাগড়াছড়ির মহালছড়িতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধাররোয়াংছড়িতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছেকাপ্তাইয়ে বন বিভাগের অভিযানে ঘুঘু পাখি উদ্ধারগৌতম বুদ্ধের ছয়টি স্মৃতি বিজড়িত দিন আষাঢ়ী পূর্ণিমারুমায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা মহাসমারোহে উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রোয়াংছড়িতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপ

॥ হ্লাছোহ্রী মারমা, রোয়াংছড়ি ॥
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় সারা দেশের মতো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ওয়াছো লাব্রে পবিত্র ধর্মীয় উৎসব শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা মহাসমারোহে উদযাপন হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন বৌদ্ধ সম্প্রদায় প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারগুলোতে দিনব্যাপী পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করে যথাযথভাবে উদযাপন করা হয়েছে।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আষাঢ়ী পূর্ণিমার পবিত্র এই দিনে মহাকারুণিক বুদ্ধ সিদ্ধার্থ গৌতম মাতৃজঠরে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন, জীব-জগতের কল্যাণের জন্য কঠোর সাধনা করতে গৃহত্যাগ করেন, সারনাথে প্রথম ধর্মচক্র সূত্র দেশনা করেন, প্রতিহার্য ঋদ্ধি প্রদর্শন করেন এবং মাতৃদেবীকে ধর্ম দেশনা দিতে তাবতিংস স্বর্গে গমন করেছিলেন। এই দিন থেকেই ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান শুরু হয়। পঞ্চস্মৃতি বিজরিত আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্য এক মহান পবিত্র দিন হিসেবে বিবেচিত।

দিনটিকে মহাসমারোহে উদযাপনের মধ্যে রয়েছে রোয়াংছড়ি জেতবন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার, বেংছড়ি পাড়া বৌদ্ধ বিহার, অংজাই পাড়া বৌদ্ধ বিহার, বড়শিলা বৌদ্ধ বিহার, রোয়াংছড়ি শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহার, পাগলাছড়া সবর্জনীন বৌদ্ধ বিহার, কচ্ছপতলী পাড়া বৌদ্ধ বিহারসহ (১৮০ অধিক) বৌদ্ধ বিহার রয়েছে এই উপজেলায়।

বিহার পরিচালনা কমিটি ও দায়ক-দায়িকাদের ব্যবস্থাপনায় কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোরে পবিত্র ত্রিপিটকের মঙ্গলবানী পাঠ তথা মন্ত্র পাঠ, ভিক্ষু সংঘের প্রাতঃরাশ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল ও উপসোথ শীল গ্রহণ, বর্ষা-বার্সিক দান (ভিক্ষু সংঘের পরিধেয়), পিন্ডদান, মধ্যাহ্ন ভোজ, বুদ্ধের জীবনাদর্শ ও শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা, বুদ্ধ কীর্তন, আলোকসজ্জা, সন্ধ্যাকালীন প্রদীপ পূজা তথা গিলানো প্রত্যয় পূজা, জগতের শান্তি, দেশের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনায় সমবেত প্রার্থনা এবং প্রয়াত আত্মীয় স্বজনের নির্বাণ সুখ কামনায় পূণ্যদান অনুষ্ঠান ।

রোয়াংছড়ি জেতবন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যক্ষ ও পাবর্ত্য জেলা ভিক্ষু পরিষদের সভাপতি ভান্তে উ:পঞ্ঞানন্দ মহাথের মহোদয় দেশনাকালে জানান, আষাঢ়ী পুর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পুর্ণিমার তিথি পর্যন্ত তিনমাস পর্যন্ত বর্ষবাস পালন করবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। পূর্ণিমার এই তিথিতেই বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহা-পরিনির্বাণ লাভ করেন।