[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
নাইক্ষ্যংছড়িতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ৫ লাখ টাকার সেগুন কাঠ জব্দনাইক্ষ্যংছড়িতে ১০হাজার পিস ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতারঅসদুপায় অবলম্বন করায় খগড়াছিড়িতে ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কারএইচএসসি পরীক্ষায় রাজস্থলী কেন্দ্রে ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষা দেয়নি ১৯ পরীক্ষার্থীকমিশন ছাড়া কাজ হয় না বান্দরবানের লামা পৌরসভায় !যা মনে হইতেছে সরকারি খাদ্য গুদামের দরজা জানালা ভাঙ্গাচোড়া, না হইলে ঘরের ইন্দুর বেড়া কাটিতেছে বলিয়াই মনে হইতেছে, চিন্তায় আছি…বান্দরবানের থানচি হাসপাতালেও দূর করতে হবে চিকিৎসক সংকটরাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ লেক ভিউ গার্ডেনকাপ্তাইয়ে শহীদ মিনারে “আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল” অনুষ্ঠিতখাগড়াছড়ির রামগড়ে বিএনপি’র আনন্দ মিছিল
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কমিশন ছাড়া কাজ হয় না বান্দরবানের লামা পৌরসভায় !

॥ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের লামা পৌরসভায় সরকারী ৭% আয়কর, সাড়ে ৭% ভ্যাট ছাড়া আরো সাড়ে ৬ শতাংশ কমিশন না দিলে কোন উন্নয়ন কাজের বিল না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি দুর্নীতিগ্রস্ত লামা পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ মসজিদের উন্নয়ন কাজেও কমিশন ছাড় দেয়নি। পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতি এখনও ওপেন সিক্রেট। কাজ না করেই বিল উত্তোলন, নিম্নমানের কাজ, দরপত্রবহির্ভূত কোটেশনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কাজ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ গুরুতর নানা অভিযোগ রয়েছে এই বিভাগের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করা পৌরসভার বেশ কয়েকজন ঠিকাদান জানান, কাজ পাওয়ার পরপরই অনুমোদন খরচের নামে ১%, কাজের বিল নেয়ার সময় সহকারী প্রকৌশলী ১%, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ২%, ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট ০.৫%, একাউন্টস ০.৫% এবং মেয়র/প্রশাসককে ১.৫% কমিশন দিতে হয়। এদিকে চুক্তিমূল্য থেকে কাজ কম হলে কম হওয়া কাজের ৬০-৪০ হারে ভাগাভাগি করতে হয়। ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেলেও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারীরা রয়েছে বহাল তবিয়তে। গত ৩০ জুন পৌরসভার বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিকরা উন্নয়ন কাজের কমিশন বাণিজ্যের কথা উপস্থাপন করলে পৌর প্রশাসক ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, কোন ঠিকাদার অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভাকে চাহিদামতো কমিশন না দিলে ঠিকাদারদের কাজ মেলে না। গত ১৬-১৭ বছর টেন্ডারবহির্ভূত কাজ করে প্রকৌশলীরা বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাঝেমধ্যে দরপত্র আহ্বান করলেও তাদের নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশন দিতে হয়। অন্যথায় কাজ পাওয়া যায় না। কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২৫ ভাগ টাকা প্রকৌশলীরা নিয়ে নেন। অন্যদিকে তাদের চাহিদামতো টাকা দিলে নিম্নমানের কাজ করলেও সমস্যা নেই। এসব কাজের মাস্টারমাইন্ড ও সবার পক্ষে কমিশন গ্রহণ করেন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল করিম। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও অনিয়ম আর দুর্নীতির ছাপ মোছেনি একটুও, রয়ে গেছে আজও। পৌর শহরে গত ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেস হয়েছে, এমন কয়েকটি কাজ পরিদর্শন করলেই নিম্নমানের কাজের চিত্র পাওয়া যাবে।

লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যান পাড়া জামে মসজিদে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন টয়লেট নির্মাণ করে লামা পৌরসভা। মসজিদের থেকে কমিশন নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার। লামা পৌরসভার আরেক ঠিকাদার বদরুল আলম চৌধুরী বলেন, সাড়ে ৬% কমিশন নেয়ার বিষয়টি শত ভাগ সত্যি। স্থানীয় বাসিন্দা ডন ম্রো বলেন, হাসিনা সরকার পতন হয়ে গেছে, লামা কিন্তু এখনো হাসিনার ক্ষমতা দেখিয়ে চলছে অনেক জন। আনোয়ার হোসেন নামে আরেকজন বলেন, লামা পৌরসভায় যে সকল কর্মকর্তাগণ আছেন তারা দীর্ঘ ২০ বছর যাবদ একই স্থানে চাকরি করার কারণে তারা একক জন মেয়রের চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে গেছে। তার ফলে কর্মচারীরা কাজের পার্সেন্ট বা কমিশন নেওয়া প্রভাব বিস্তার করে টাকা আদায় করছে। ফলে মূল কাজের গুনগত মান নয়-ছয় করে প্রকৌশলী মেনেজ করে উন্নয়নের কাজ করছে।

লামা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল করিম ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। লামা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রুইপ্রু অং মার্মা বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। কমিশন বা এইসব বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।