[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অন্তবর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার বিতর্কিত কার্যক্রমের প্রতিবোদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন ও সংস্কার কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে একের পর এক বিতর্কিত ও রাষ্ট্রদ্রোহী সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছে। জেলা পরিষদগুলো শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ ও জনবল নিয়োগে বাঙ্গালীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার আদিবাসী পরিচয়ের দাবী ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর বিতর্কিত কার্যক্রমের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বলেছেন এসব বৈষম্যেও অবসান চাই। সোমবার (৩০ জুন) সংগঠনের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তরা এসব কথা তুলে ধরেন।

রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। পিসিসিপি সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বরকল উপজেলা সভাপতি তসলিম উদ্দিন, লংগদু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বনরূপাস্থ সিএনজি স্টেশন চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী কর্তৃক “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা কর্তৃক ‘আদিবাসী’ পরিচয়ের দাবিতে জানিয়ে সংবিধানের বিরোধিতা করেছেন। একটি দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি কর্তৃক এমন বক্তব্য প্রদান শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং তা জাতিগত উত্তেজনা এবং বিভাজনের রাজনীতিকে উৎসাহিত করছে। তাই পার্বত্য উপদেষ্টাকে অপসারণ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈষম্যের অবসান হওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও বর্তমান সরকারের পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও তার মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে চরম বৈষম্য নীতি চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এইসব বৈষম্যের অবসানে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সমাবেশ থেকে পার্বত্য মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে অপসারণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদগুলো পুনর্গঠন করার জোর দাবি জানানো হয়।

বক্তারা আরো বলেন, আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির আড়ালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র হিসেবে ভারতের উস্কানিতে সুপ্রদীপ চাকমা আদিবাসী স্বীকৃতির কথা সামনে নিয়ে এসেছেন। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধন করে জাতি বৈচিত্র্য সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশ বিরোধী, সংবিধান বিরোধী এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।